ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ধর্ষণ মামলা

টাঙ্গাইলের বড় মনির ও তার স্ত্রীর জামিন চেম্বারে স্থগিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৬ পিএম, ৩০ এপ্রিল ২০২৩

ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় টাঙ্গাইলের বড় মনির ও তার স্ত্রীর জামিন স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত।

একই সঙ্গে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৩০ এপ্রিল) আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম চেম্বারজজ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।

আরও পড়ুন>>> আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর ধর্ষণ মামলা

এর আগে বড় মনির ও তার স্ত্রী নিগার আফতাব ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন। গত ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এ কে ফা এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জানান, হাইকোর্টে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক বড় মনিরের চার সপ্তাহের আগাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। চার সপ্তাহ পর তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন।

আরও পড়ুন>>> ধর্ষণ মামলায় আগাম জামিন পেলেন আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনি

গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলায় ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা বলে প্রমাণ পেয়েছে মেডিকেল বোর্ড। মামলা হওয়ার পরদিন ওই কিশোরী আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছন।

মামলায় ওই কিশোরী (১৭) অভিযোগ করেন, গোলাম কিবরিয়া তার পূর্বপরিচিত। গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে শহরের আদালত পাড়ায় নিজের বাড়ির পাশের একটি ভবনে গোলাম কিবরিয়া ডেকে নেন। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন ও আপত্তিকর ছবি তুলে রাখেন। পরে আপত্তিকর ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে ওই কিশোরী মামলায় অভিযোগ করেছেন।

আরও পড়ুন>>> টাঙ্গাইলে এক বছরে আলোচিত ১৭ খুন

মামলার এজাহারে বলা হয়, একপর্যায়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি গোলাম কিবরিয়া জানার পর সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে কিশোরী রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ তাকে শহরের আদালত পাড়ায় গোলাম কিবরিয়ার শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি কক্ষে ওই কিশোরীকে গোলাম কিবরিয়া আবার ধর্ষণ করেন।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম