নিঃশর্ত ক্ষমা চান খাদ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি
প্রধান বিচারপতি ও বিচারব্যবস্থা নিয়ে আদালত অবমাননাকর বক্তব্যের বিষয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন। আবেদনে তিনি সশরীরে হাজিরার জন্য এক সপ্তাহ সময় প্রার্থনা করেছেন।
সোমবার আদালতে এ আবেদন করেন খাদ্যমন্ত্রী। তার আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা চাইবেন মন্ত্রী।
আদালত অবমাননার অভিযোগে সশরীরে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করবেন খাদ্যমন্ত্রী। একটি সম্মেলনে দেশের বাইরে থাকায় মঙ্গলবার আপিল বিভাগে হাজির হতে পারছেন না তিনি। এজন্য সময় প্রার্থনা করে আবেদন করেছেন মন্ত্রী। সোমবার আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহমুদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আবেদনে বলা হয়েছে, কামরুল ইসলাম সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। আপিলে বিভাগ কর্তৃক তলবে অনেক আগে মালয়েশিয়ার পুত্রজায়াতে বিশ্বখাদ্য সংস্থার একটি সম্মেলেন যোগ দেয়ার জন্য সরকারি আদেশ জারি করা হয়। ওই সম্মেলনে যোগদান শেষে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে ১৬ মার্চ দেশে ফিরবেন। এরপর আদালত যেদিন তাকে হাজির হতে বলবেন আদালতের আদেশের প্রতি সম্মান দেখিয়ে তিনি হাজির হবেন।
জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর আপিল বিভাগ বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রধান বিচারপতিকে জড়িয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগে গত ৮ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে তলব করে। মঙ্গলবার তাদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ধার্য রয়েছে। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহমুদ বলেন, এরই মধ্যে কারণ দর্শানো তৈরি করে আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সেখানে আমরা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আবেদন করেছি।
আবেদনে আরো বলা হয়েছে, তিনি সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আদালতের ভাবমূর্তি ও মর্যাদা কোনোভাবেই যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সে বিষয়ে তিনি সচেষ্ট রয়েছেন। ভবিষ্যতে আদালতের মর্যাদা যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকেও সচেষ্ট থাকবেন তিনি।
আইনজী্বী জানান, ভবিষ্যতে আদালত অবমাননা হয় এমন বিষয়ে কোন ধরনের কথা বলবেন না।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী তার আইনজীবীর মাধ্যমে বিকালে এ সংক্রান্ত আবেদন করার হবে বলেও জানা গেছে।
এর আগে গত ৮ মার্চ খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামও ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে তলব করে নোটিশ জারি করেন আপিল বিভাগ।
১৪ মার্চ দুই মন্ত্রীকে তাদের বক্তব্যের লিখিত ব্যাখ্যা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দিতে বলেন এবং ১৫ মার্চ তাদেরকে সশরীরে সর্বোচ্চ আদালতে হাজির হয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সরকারের দুই মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে কথার উত্তাপ। আইনজীবীসহ দেশের বিশিষ্টজনেরা বলেছেন চূড়ান্ত রায়ের আগে দুই মন্ত্রীর বক্তব্য দেয়া ঠিক হয়নি। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, তাদের বক্তব্য অসাংবিধানিক।
এফএইচ/জেএইচ/এমএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ হাদির মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বর হারালো: প্রধান বিচারপতি
- ২ নিউমুরিং টার্মিনাল নিয়ে রিট নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ
- ৩ নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার চাইলেন ৩ সেনা কর্মকর্তা
- ৪ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ১ ও ২ এপ্রিল
- ৫ বিচার বিভাগের স্থিরতা হতে পারে জাতির নির্ভরযোগ্য স্থিতিশীলতার উৎস