ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

তারেকের ঠিকানায় নোটিশ দিতে লন্ডন দূতাবাসকে নির্দেশ

প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ১৬ মার্চ ২০১৬

অর্থপাচার (মানি লন্ডারিং) মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডনের নতুন ঠিকানায় নোটিশ পাঠানোর জন্য লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশ ৩১ মাচ আসতে পারে।  

এরআগে তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানায় নোটিশ পাঠানো হলেও সে বিষয়ে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। লন্ডন হাইকমিশনার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার অভিযোগপত্রে তারেক রহমানের লন্ডনে অবস্থানের যে ঠিকানা রয়েছে, সেখানে ইতোপূর্বে নোটিশ দেয়া হয়েছিল। তারেক রহমান ওই ঠিকানায় অবস্থান করছেন না। হাইকমিশন অফিস তারেক রহমানের বর্তমান অবস্থানের ঠিকানাও আদালতে দাখিল করে।

এরপর নতুন ঠিকানায় নোটিশ পাঠানোর জন্য দূতাবাসকে নির্দেশ দেন আদালত।

দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, সিএমএম কোর্টের মাধ্যমে নোটিশ জারি হবে এবং সেটা লন্ডন দূতাবাস তারেক রহমানের লন্ডনের নতুন ঠিকানায় পৌঁছে দেবে।

এরআগে ৩ মার্চ আদালতের এক আদেশে বলা হয়, মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক রহমান আদালতের আদেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করে কি না তা ১৬ মার্চ পর্যন্ত দেখবে আদালত।

গত ১২ জানুয়ারি তারেকের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর এই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। একই মামলায় তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। পাচারকৃত ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেন আদালত। এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর আপিল করে দুদক। ২০১৪ সালের ১৯ জানুয়ারি এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তারেক রহমানকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের আদেশ দেয় হাইকোর্ট।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিল দুদক। ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। এ মামলা দায়ের থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াতেই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান। গত আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। এ মামলা ছাড়াও তার নামে রয়েছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মতো বড় মামলা।

এফএইচ/এনএফ/এমএস