মির্জা আব্বাসের জামিন আদেশ আরো এক সপ্তাহ স্থগিত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা একটি মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ আরো এক সপ্তাহ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট মির্জা আব্বাসকে এ মামলায় স্থায়ী জামিন দিয়েছেন। জামিন সংক্রান্ত ওই রায় এখনো প্রকাশ পায়নি। রায় প্রকাশ পেলে কি পর্যবেক্ষণ দিয়ে তাকে জামিন দেয়া হয়েছে তা জানা যাবে। শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ ওই জামিন আদেশের উপর দেয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ আজ আরো এক সপ্তাহ বৃদ্ধি করে আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৪ মার্চ মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ এক সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয়া হয়। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর শাহবাগ থানায় দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় হাইকোর্ট গত ৯ মার্চ জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় জামিন প্রশ্নে ইতোপূর্বে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন জানান, এ মামলায় মির্জা আব্বাসের জামিনের মেয়াদ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়।
বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের আমলে মির্জা আব্বাস মন্ত্রী থাকা অবস্থায় সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দ দিয়ে ১৫ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এমন অভিযোগে ২০১৪ সালে শাহবাগ থানায় মামলা করে দুদক। গত ৬ জানুয়ারি এ মামলায় নিম্ন আদালত তার জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এ মামলায় গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিচারিক আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন মির্জা আব্বাস। প্রাথমিক শুনানির পর এ মামলায় মির্জা আব্বাসকে কেন জামিন দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়। রুলের উপর শুনানির পর হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করেন।
এফএইচ/এসকেডি/পিআর