মৌলভীবাজারে সিলিকা বালু উত্তোলনে ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা
মৌলভীবাজারের ছয়টি উপজেলায় রাবার ও চা-বাগানের পাহাড়ি পানির ছড়া থেকে সিলিকা বালু উত্তোলন নিয়ে ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ে ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট। জনস্বার্থে পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও মো. খসরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিথ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সেইসঙ্গে পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ইজারা দেয়া কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে মৌলভীবাজারের ডিসি, এসপি, জেলা পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাসহ ছয় উপজেলার ইউএনওদের ওই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সাঈদ আহমেদ কবীর।
পরিবেশগত সমীক্ষা ছাড়াই মৌলভীবাজারের ছয়টি উপজেলায় রাবার ও চা-বাগানের ১৯টি পানির ছড়া (খাল) থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন এবং ইজারা প্রদান কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ৮ মার্চ রিট দায়ের করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
রিটে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১৮ জুন সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৌলভীবাজার সদর, শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, রাজনগর, কুলাউড়া ও বড়লেখা উপজেলার ৫১টি ছড়াকে সিলিকা বালু সমৃদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করেন। এর মধ্যে অযান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলনের জন্য ১৯টি ছড়া ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সরকার ইজারা দেয়।
কিন্তু বিদ্যমান খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২ সহ বিদ্যমান অন্যান্য আইন অনুযায়ী অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ পন্থায় সিলিকা বালু উত্তোলন নিষেধ করা হয়। আইনজীবীর দাবি- যারা ইজারা নিয়েছেন তারা ড্রিল মেশিন, ড্রেজার ও এক্সাভেটর দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। যা অবৈধ ও বেআইনি। এসব অনিয়ম বন্ধ করার জন্য বেলার পক্ষ থেকে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
এ রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট নতুন করে ইজারা প্রদানের ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। পাশাপাশি ড্রিল মেশিন, ড্রেজার ও এক্সাভেটর জব্দ করতে মৌলভীবাজারের ডিসি, এসপি ও ইউএনওদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এফএইচ/এসএইচএস/এবিএস