ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

থার্টি ফার্স্ট নাইট

আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানো বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৫৩ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

থার্টি ফার্স্ট নাইটে দুর্ঘটনারোধে বাসা বাড়ির ছাদ ও ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে আতশবাজি, পটকা ফোটানো বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আতশবাজি, পটকা, ককটেলের ব্যবহার বন্ধেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো.জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. আশরাফ উজ জামান ও অ্যাডভোকেট মো. দেলুয়ার হোসেন।সঙ্গে ছিলেন, অ্যাডভোকেট মাইনুদ্দিন ফারুকী, শাহ আহমেদ বাদল ও মোহাম্মদ আজিজুল হক।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল জিশান হায়দার, ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল এএফএম সাইফুল কবীর, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট ইমরুল কায়েস রানা, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাকের হোসাইন।

আরও পড়ুন:

আদেশের পর অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান সাংবাদিকদের জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাজধানীর বাসা-বাসা বাড়ির ছাদ ও ভবন, উন্মুক্ত স্থান, পার্কে সমাগম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া আতশবাজি, পটকা, ককটেলের ব্যবহার বন্ধেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রিটকারী আইনজীবী জানান, এই রিটে রাত ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে তীব্র সাউন্ড দিয়ে কোনো অনুষ্ঠান না করা এবং বাসা-বাড়ির ছাদে আতশবাজি-পটকা ফোটানো ও ফানুস ওড়ানো বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়। এছাড়া থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাত ১০টা থেকে সড়ক, পার্ক ও উন্মুক্তস্থানে জনসমাগম বন্ধের নির্দেশ চাওয়া হয়। পাশাপাশি ওই দিন আতশবাজি-পটকা ও ফানুস বেচাকেনা বন্ধ চাওয়া হয়। এসব ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশনাও এই রিটে চাওয়া হয়।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ উজ্জামান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারকে বিবাদী করা হয়।

এদিকে, এবার ঢাকায় থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অতিরিক্ত তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পরিবেশ অধিদপ্তরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। তারা যে কোনো জায়গায় ভ্রাম্যমাণ আদালত চালাবে।

এফএইচ/এসএনআর/জিকেএস