ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

করোনাকালে অফিসে যাচ্ছেন? যেসব সাবধানতা মানা জরুরি

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৪৩ এএম, ০৮ মে ২০২১

মহামারি করোনার বিস্তার বেড়েই চলেছে। এ সময় লকডাউন থাকা স্বত্ত্বেও অনেকেই জীবিকার তাগিদে নিয়মিত অফিসে যাচ্ছেন। এর মধ্যে আবার মার্কেট-শপিংমলও খোলা আবার গণপরিবহনও চলছে রাস্তায়।

এখন বাইরে বের হওয়া বিপজ্জনক। তবে জীবিকার তাগিদে তো অফিসে যেতেই হবে! তাই মহামারির মধ্যেও যারা অফিসে যাচ্ছেন; তারা কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন জেনে নিন-

স্যানিটাইজার-সাবান সঙ্গে নিন: বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় হ্যান্ড-স্যানিটাইজার বা সাবান সঙ্গে নিন। প্রতি আধা ঘণ্টা পরপর হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

হাত জীবাণুমুক্ত না করে কোনোভাবেই মাস্কে হাত দিবেন না। এ ছাড়াও অযথা চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না। খাওয়ার আগে ও পরে অবশ্যই হাত জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা: অফিসে গিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গেও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। একেবারেই পাশাপাশি বসবেন না। অফিসে থাকাকালীন সময়েও মাস্ক পরিধান করুন। অফিসের টয়লেট ব্যবহারের সময় ডিসইনফেকটেন্ট স্প্রে ব্যবহার করুন।

jagonews24

টয়লেট ব্যবহারের পর অবশ্যই ৩০ সেকেন্ড ধরে সাবান-পানি হাত পরিষ্কার করবেন। আপনার ডেস্ক, কম্পিউটার, কি-বোর্ড, মাউস সহ সব ব্যবহৃত জিনিসপত্র ডিসইনফেকটেন্ট স্প্রে দিয়ে জীবাণুমুক্ত রাখবেন।

২-৩টি মাস্ক পরুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বাইরে বের হলে ২-৩টি মাস্ক পরার। সার্জিক্যাল মাস্ক পরে তার উপরে এন-৯৫ মাস্ক পরবেন। ব্যাগেও দুটি সার্জিকাল মাস্ক রাখবেন।

গ্লাভস এবং হেয়ারক্যাপ: আপনি যদি গণপরিবহনে যাতায়াত করে থাকেন; তাহলে হাতে গ্লাভস এবং মাথায় হেয়ার ক্যাপ পরবেন। গ্লাভস খোলার সময় উল্টো করে খুলে ফেলে দিয়ে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

jagonews24

ঘরে ফিরে: বাড়ি ফেরার পর বেডরুমে প্রবেশ না করে ড্রয়িং রুমেই পোশাক ও ব্যাগে স্যানিটাইজার স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করুন। এরপর সোজা বাথরুমে গিয়ে হাত ও পা সাবান দিয়ে ধুয়ে পোশাক খুলে ধুয়ে ফেলুন।

হালকা গরম পানিতে সামান্য অ্য়ান্টিসেপটিক মিশিয়ে সেই পানিতে পোশাক ধুয়ে নিন। তারপর ফ্রেশ হয়ে এসে তিনি সবার সঙ্গে বসে কথা বলতে পারেন। কিন্তু প্রথমে নিয়ম মেনে চলা খুবই প্রয়োজন।

যদি অসুস্থ হন: এরই মধ্যে আপনার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ টের পেলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে হবে। প্রথমেই টেস্ট করিয়ে নিলে পরিবারের সবাই সুরক্ষিত থাকবে।

জেএমএস/এএসএম

আরও পড়ুন