ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

যে কারণে ক্যারিয়ারের শুরুতেই সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি

লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৫৯ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সঞ্চয় যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন, ভবিষ্যতে কোনো জরুরি প্রয়োজনে সেটি আশির্বাদ হয়ে আসে। বিশেষ করে যারা সদ্য কর্মজীবনে প্রবেশ করেছেন, তারা শুরু থেকেই সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভবিষ্যতের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে তা ভূমিকা রাখে। সঞ্চয়ের অভ্যাস আপনাকে দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক পরিকল্পনা গ্রহণে উৎসাহিত করে, যা সামগ্রিক জীবনযাত্রার মান বাড়াতেও সহায়ক। বিশ্বব্যাপী বহু তরুণ এখন স্বপ্ন দেখেন নির্দিষ্ট সময় চাকুরির পর নিজেই কিছু একটা দাঁড় করানোর, সেই লক্ষ্যে অনেকেই যাচ্ছেন আগাম অবসরে। কেউ শুরু করছেন নিজের ব্যবসা, কেউবা বেরিয়ে পড়ছেন বিশ্বভ্রমণে। আর এমন স্বপ্ন যদি আপনারও থাকে তবে সঞ্চয় শুরু করুন এখনই। কেননা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে খরচ, কঠিন হয়ে পড়ে সঞ্চয়।

আসুন দেখে নেওয়া যাক নিয়মিত সঞ্চয়ের সুবিধাগুলো

আর্থিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা: জীবনে অপ্রত্যাশিত খরচ আসতে পারে, যেমন – নিজের বা মা-বাবার অসুস্থতা, চাকরি হারানো বা অন্য কোনো জরুরি প্রয়োজন। সঞ্চয় থাকলে এই ধরনের পরিস্থিতিতে মানসিক চাপ কমে এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সহজ হয়।

ঋণের বোঝা কমানো: সঞ্চয় থাকলে উচ্চসুদে ঋণ নেওয়া থেকে যেমন বাঁচা যায়, তেমনি পুরোনো কোনো ঋণ, হোক সেটি নিজের বা পারিবারিক, তা শোধ করাও সহজ হয়। তাই সঞ্চয় আপনাকে ঋণের ফাঁদ থেকে দূরে রাখতে পারে।

সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বাধীনতা: হাতে যখন পর্যাপ্ত সঞ্চয় থাকে, তখন আপনি যে কোনো আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আরও স্বাধীনভাবে। চাকরির ক্ষেত্রে বা ব্যক্তিগত জীবনে কোনো পরিবর্তনের প্রয়োজনে আপনার হাতে যথেষ্ট বিকল্প থাকে।

লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা: বিদেশে উচ্চশিক্ষা, বিয়ের প্রস্তুতি, সন্তানের শিক্ষা, নিজের ব্যবসা শুরু করা, ড্রিম ডেস্টিনেশনে ঘুরতে যাওয়া বা অবসর পরিকল্পনা– এ ধরনের বড় স্বপ্ন পূরণের জন্য যথেষ্ট অর্থের প্রয়োজন। নিয়মিত সঞ্চয় এই লক্ষ্যগুলো ধাপে ধাপে পূরণে সাহায্য করে।

বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি: সঞ্চিত অর্থ পরে বিভিন্ন লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করে আরও অর্থ উপার্জনের সুযোগ তৈরি হয়। স্টক মার্কেট, বন্ড বা রিয়েল এস্টেটের মতো বিনিয়োগ আপনাকে দীর্ঘমেয়াদে আর্থিক সুবিধা দিতে পারে।

মানসিক প্রশান্তি: আর্থিক অনিশ্চয়তা মানুষের মনে উদ্বেগ বাড়ায়। পর্যাপ্ত সঞ্চয় থাকলে এই উদ্বেগ অনেকাংশে কমে যায় এবং নিশ্চিন্ত জীবনযাপন সহজ হয়ে ওঠে।

যে কারণে ক্যারিয়ারের শুরুতেই সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরিএকজন তরুণকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে সঞ্চয়

এবার দেখে নেওয়া যাক কোথায় শুরু করতে পারেন জীবনের প্রথম সঞ্চয়:

সহজে সঞ্চয় মানেই এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে সঞ্চয়, আর ডিজিটাল সঞ্চয় মানেই বিকাশ অ্যাপ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সঞ্চয়। বিকাশ অ্যাপে সঞ্চয়ের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এক জায়গা থেকেই দেখে নেওয়া যায় বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ডিপিএস রেট।

নতুন ডিপিএস খুলতে বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় অর্থ রেখে অ্যাপের হোমস্ক্রিনে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ক্লিক করতে হবে। সেভিংসের ধরন থেকে ‘ডিপিএস’ বা ‘ইসলামিক ডিপিএস’ বেছে নিয়ে ডিপিএস টাইপ থেকে ‘সাপ্তাহিক’ বা ‘মাসিক’ বেছে নিয়ে সুবিধা মেয়াদ (ডিপিএসের ধরন অনুযায়ী ৬ মাস থেকে ৪ বছর) বাছাই করতে হবে। তারপর, প্রতি সপ্তাহে বা মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক (২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত) নির্বাচন করতে হবে। পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ঢাকা ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্র‌্যাক ব্যাংক বা সিটি ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে।

এরপর নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ডিপিএস-এর বিস্তারিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে। সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই ডিপিএস-এর আবেদন সম্পন্ন হবে এবং বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ ম্যাসেজ। উল্লেখ্য, বিকাশ অ্যাপ থেকে যেকোনো গ্রাহক খুলতে পারেন একাধিক ডিপিএস।

প্রতি মাসের নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিপিএস-এর টাকা কেটে নেওয়া হয়। ডিপিএস-এর মেয়াদ পূর্ণ হলে ইন্টারেস্টসহ মূল টাকা চলে আসে বিকাশ অ্যাকাউন্টে, যা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করা যায়। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তির আগেই সেভিংস সেবা বন্ধ করতে চাইলে গ্রাহক তা অ্যাপ থেকেই করতে পারবেন।

আর দেরি কেন! ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সঞ্চয় শুরু করুন যা আপনাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে এবং যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে যোগাবে আত্মবিশ্বাস। আবার, নিয়মিত সঞ্চয় করলে একটি আর্থিক সুরক্ষাবলয় তৈরি হবে যা জরুরি পরিস্থিতে উচ্চ সুদে অযাচিত ঋণ নেওয়া থেকে বিরত রাখে।

আরএমডি