ভিডিও EN
  1. Home/
  2. লাইফস্টাইল

আমাদের ঐতিহ্যবাহী অলঙ্কার

প্রকাশিত: ০৬:৫১ এএম, ০২ অক্টোবর ২০১৬

নারীর সাজে গয়না অপরিহার্য। গয়নার চলন সেই আদিকাল থেকেই চলে আসছে। তবে তখনকার সাজগোজে ছিলো কিছুটা ভিন্নতা। সাজের সরঞ্জামও ছিল ভিন্ন। যা কালের বিবর্তনে নানা নামে আবার আমাদের কাছে পরিচিত হচ্ছে নতুনভাবে। চলুন জেনে নেই তেমনি কিছু লোক অলঙ্কারের কথা।

মাদুলি
মাদুলি সাধারণত দোয়া বা কবিরাজি ওষুধ অথবা শিকড়-বাকড় রাখার জন্য ব্যবহৃত হলেও এটাকেও লোক অলংকার হিসেবে গণ্য করা হয়। লোকসমাজে মাদুলি তাবিজ নামেই পরিচিত। মাদুলি নানা আকৃতির হয়ে থাকে। সাধারণত ছোটগুলো সিলিণ্ডার আকৃতির আর বড়গুলো চ্যাপ্টা বাক্সের মতো করে তৈরি করা হয়। এগুলোর একদিকের মুখ খোলা থাকে। মাদুলিতে প্রয়োজনীয় জিনিস প্রবেশ করানোর পর এর খোলা মুখ মোম বা গালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। লাল বা কালো সুতা দিয়ে মাদুলি গলায় এবং বাহুতে পরা হয়।

মুদ্রার অলংকার
মুদ্রা বা ধাতুর তৈরি গোলাকৃতির টাকা অথবা পয়সার সমন্বয়ে এক ধরনের নেকলেস তৈরি করে গ্রামের সাধারণ মেয়েরা পরে থাকে। আংটা লাগানো মুদ্রা সুতা বা চেইনে গেঁথে এই নেকলেস বানানো হয়। বর্তমানে আধুনিক অলংকারেও এই ডিজাইনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

নথ
নাকের অলংকারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো নথ। বলয়াকৃতির এই অলংকার ঠোঁটের উপরে নাকের অংশে ফুটো করে পরা হয়। নথ ছাড়াও বালি বা রিং এবং নাকফুলও লোক অলংকারের অন্তর্ভুক্ত।

মাকড়ি
গ্রাম্য মেয়েদের অতি সাধারণ একটি কানের অলংকার হলো মাকড়ি। মাকড়ি নানা আকৃতির হয়ে থাকলেও অর্ধ চন্দ্রাকৃতির মাকড়ি বেশি জনপ্রিয়। মাকড়ির মতো দেখতে কানের দুল শহর অঞ্চলেও বেশ জনপ্রিয়। তবে এগুলো একটু জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে তৈরি করা হয়।

মল ও খাড়ু
মল এবং খাড়ু দুটোই পায়ের অলংকার। বর্তমানে এগুলোর প্রচলন নেই বললেই চলে! তার বদলে ঠাঁই নিয়েছে নুপূর বা পায়েল।

হাঁসুলি
হাঁসুলি হলো এমন একটি গলার অলংকার যা গলাকে বেষ্টন করে থাকে। হাঁসুলি মূলত লোক অলংকার হলেও আধুনিক অলংকারেও এই ডিজাইনের সমান উপস্থিতি রয়েছে।

বিছা
কোমরের বিছা কমবয়সী মেয়েরাই বেশি পছন্দ করে। সামাজিক উত্সুবগুলোতে বিছা পরা হয় বেশি। বিছাকে আভিজাত্যের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয় লোক অলংকারে।

এইচএন/এমএস

আরও পড়ুন