রসুন কেন খাবেন
আপনার প্রিয় খাবার কী? চট করে চিকেন-চাওমিন, পিজ্জা, কাচ্চি, কাবাব, আইসক্রিম কিংবা নিতান্তই দেশীয় খাবারের কথা মনে পড়ে গেছে, তাই না! সমস্যা নেই। শুধু প্রিয় খাবারের তালিকাটা আরেকটু দীর্ঘ করুন। বেশি কিছু না, শুধু দুই কোয়া রসুন যোগ করুন আপনার প্রিয় খাবারের তালিকায়। প্রতিদিন ভালোবেসে শুধু দুই কোয়া রসুন খান। রসুনই আপনার যাবতীয় সুস্থতা দেখভালের দায়িত্ব নিয়ে নেবে!
এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটি মাঝারি সাইজের রসুনে এক লাখ ইউনিট পেনিসিলিনের সমান অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাকটেরিয়া ও প্রোটোজোয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি অ্যামিবিক ডিসেনট্রি নির্মূলের ক্ষেত্রে রসুন বেশ কার্যকরী। আধুনিক ভেষজ চিকিৎসকরাও সর্দি, কাশি, জ্বর, ফ্লু, ব্রঙ্কাইটিস, কৃমি, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, খাদ্য পরিপাকের সমস্যাসহ লিভার ও পিত্তথলির নানা উপসর্গ দূর করতে রসুন খাওয়ার পরামর্শ দেন।
১. যারা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তারা রসুন খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
২. রক্তে কোলেস্টেরল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান।
৩. আয়ুর্বেদিক ওষুধ বানাতে রসুন ব্যবহূত হয়। ওজন কমানোর আয়ুর্বেদিক প্যাকেট বানাতেও ব্যবহূত হয় রসুন।
৪. সর্দি কাশিতেও রসুন উপকারী।
৫. শরীরের ব্যথা কমায় রসুন। রসুন হচ্ছে ন্যাচারাল পেইন কিলার। শিশু কিংবা বড়দের দাঁতে ব্যথা হলে একে কোষ রসুন চিবালে দাঁতে ব্যথা উপশম হবে।
৬. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে রসুন।
৭. হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক রসুন।
৮. নিয়মিত রসুন খেলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসজনিত রোগের ঝুঁকি কমে যায়।
৯. আমেরিকান ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের গবেষকরা জানান, নিয়মিত রসুন খেলে প্রোস্টেট ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
১০. সবচেয়ে বেশি উপকার পেতে কাঁচা রসুন চিবিয়ে খান। কাঁচা রসুন অ্যান্টিবায়োটিকের মতো কাজ করে।
এইচএন/এমএস