লাল-সাদায় বর্ষবরণ
আজকাল এই দুটো রঙের সঙ্গে কমলা, হলুদ, নীল ও অন্যান্য রংও ব্যবহার করা হচ্ছে বৈশাখের পোশাকে। তবে কেন্দ্রীয় রং লাল-সাদাই রাখা হয়। প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূল, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, চারুকলাসহ বৈশাখের সব অনুষ্ঠানে দেখা যায় লাল-সাদা শাড়ির বাহার। চুড়ি, টিপ, গহনা, লিপস্টিক এমনকি জুতা, ব্যাগও হয়ে থাকে লাল-সাদা রঙের।
শাড়িতে এখন জমিদারবাড়ির মোটিভ, শম্ভু বা গাজীর পটচিত্র, মুখোশের মোটিফ বা ফ্লোরাল মোটিভ প্রাধান্য পাচ্ছে। সেই সঙ্গে থানে ব্লক, বাটিক, স্ক্রিনপ্রিন্ট বা কাজ করা শাড়িও এ সময় বেশ চলছে। বরাবরের মতো এবারও দেশীয় বিভিন্ন মোটিফে পোশাক তৈরি করা হয়েছে। হাতের কাজ, নকশিকাঁথার কাজ, ফুল, পাখি ঐতিহ্যবাহী নকশার হ্যান্ডপেইন্টের চাহিদা বেশি।
বৈশাখের শাড়ি কেনার জন্য বাজেটটা অনেক হতে হবে তা নয়। বরং সুন্দর ঐতিহ্যবাহী নকশায় বোনা শাড়ি কিনতে পাওয়া যাবে ফ্যাশন হাউসগুলোতে। এসব শাড়িতে বুননের পাশাপাশি থাকে খানিকটা বাড়তি যোগ। পাঞ্জাবির ক্ষেত্রে দেখা গেছে মোগল পোশাকের কাটিং বা সেমি ফিট পাঞ্জাবি বেশি চলছে এবার।
শাড়ি পরলে সাজতেও হবে। আর সেই সাজে যদি ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার ব্যবহার না করা হয়, সেটা সবচেয়ে ভালো। তবে যদি কেউ মেকআপ করতেই চান, সে ক্ষেত্রে অয়েলফ্রি মেকআপ ব্যবহার করতে পারেন আর দিতে পারেন ম্যাট ফাউন্ডেশন।
হাতভর্তি লাল কাচের চুড়ি পরতে পারেন ইচ্ছামতো। কপালে বড় করে লাল টিপ। কিংবা লাল, সাদা, সবুজ মিলিয়ে চলতে পারে কুমকুমের টিপও। অল্পবয়সী যারা, তারা তো একদমই কোনো ধরনের মেকআপ ব্যবহার করবে না। যত বেশি সাধারণ সাজে থাকা যাবে ততই ভালো। সেই সঙ্গে খোঁপাভর্তি বেলি ফুলের মালা থাকা চাই।
বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। এ ছাড়া সারাদিন অনেক বেশি পানি পান করতে হবে। আর চুলের সাজে বেণি বা খোঁপা চলতে পারে। সেখানে ফুলের পাশাপাশি কড়ি বা পুঁতির টারসেল ব্যবহার করা যেতে পারে। সাজে এথনিক লুকটা এই দিনের সঙ্গে অনেক বেশি মানানসই।
এইচএন/এমএস