পেশাদারি মনোভাব বৃদ্ধিতে ছেলেরা যা করবেন
কর্মক্ষেত্রে পুরুষদের জন্য পেশাদারি মনোভাব বজায় রাখা জরুরি। কারণ অফিস হচ্ছে কাজের জন্যই। তাই একজন পুরুষকে যতদূর সম্ভব পেশাদারিত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হবে। আর পেশাদিরত্ব বজায় রাখার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে নিজেকেই। করতে হবে ছোট ছোট কিছু কাজ-
১. সকালে একটু আগেভাগেই ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। মনও যেমন ফুরফুরে থাকবে, আর সময়মতো কর্মক্ষেত্রে পৌঁছে কাজে মন দেওয়াটাও সহজ হবে।
২. যারা সারাদিন অফিসে বা কর্মক্ষেত্রে থাকেন তাদের সকালে গোসল করে বের হওয়া ভালো। এতে আপনাকে সতেজ ও প্রাণবন্ত লাগবে, কাজের প্রতিও আগ্রহ বাড়বে।
৩. অফিস থেকে ফিরে আবার গোসল করে নিতে পারেন। সারাদিনে শরীরে জমা ময়লা আর ক্লান্তি দুইই দূর হয়ে, ঘুমটাও অনেক ভালো হবে।
৪. প্রতিদিন সাবান দিয়ে গোসল করার অভ্যাস করুন। সুগন্ধি সাবান বাদ দিয়ে ডেটল জাতীয় সাবান ব্যবহার করা ভালো। এগুলো রোগজীবাণু প্রতিরোধে বেশি কার্যকর।
৫. পরের দিন কী কী কাজ করবেন বা কার কার সাথে কখন দেখা করবেন তা আগের দিন রাতে ঘুমানোর আগেই পরিকল্পনা করে রাখুন। মনে না থাকার সম্ভাবনা থাকলে ডায়েরি, মোবাইল বা নির্দিষ্ট কোথাও নোট করে রাখতে পারেন। এতে পরের দিন পরিকল্পনামাফিক কাজ করা সহজ হবে।
৬. বেশি রাত জাগার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করার চেষ্টা করুন। এতে সকালের ঘুম ভাঙতে দেরি ও কষ্ট হয়, কাজেরও ক্ষতি হয়। বেশি দেরি করে ঘুম থেকে উঠলে আপনার সারাদিনের পরিকল্পনাটাই এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। এছাড়া রাত জাগাটা স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।
৭. কর্মক্ষেত্রের একাধিক পোশাক রাখুন। এক পোশাক বারবার না পরে একদিন পরার পরই ধুয়ে ফেলুন। সবসময় ধোয়া এবং আয়রন করা কাপড় পরার চেষ্টা করবেন।
৮. ঘামের দুর্গন্ধে যেনো আপনার পাশের লোকটির কষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।
৯. পারফিউম বা বডি স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই তা যেনো খুব বেশি কড়া না হয়।
১০. এক থেকে তিন দিন পরপর চুলে শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার পর চুল শুকিয়ে তাতে হেয়ার জেল বা হার্বাল অয়েল দিতে পারেন। এতে চুলের সৌন্দর্য বাড়বে।
১১. রোদের হাত থেকে রক্ষার জন্য সানস্ক্রিন সমৃদ্ধ জেন্টস ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।
১২. ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে জেন্টস উপটান ব্যবহার করুন। জেন্টস পার্লার থেকে মাসে একবার ফেসিয়ালও করাতে পারেন।
১৩. বাইরের ধুলাবালির কারণে অনেকের শ্বাস কষ্ট হয়। সেক্ষেত্রে মুখে মাস্ক ব্যবহার করলে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। রুমালও ব্যবহার করা যেতে পারে।
১৪. সবসময় সঙ্গে রুমাল ও টিস্যু পেপার রাখুন।
১৫. বাসে বা পথে ঘাটে চলার ক্ষেত্রে মাথায় ক্যাপ পরলে বাইরের ধুলাবালি থেকে চুল বাঁচানো যায়। বাইরে রোদ ও ধুলাবালি এড়াতে ব্যক্তিত্ব ও পোশাকের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ রোদচশমা ব্যবহার করুন।
১৬. সময়ানুবর্তিতা ঠিক রাখার জন্য সঙ্গে অবশ্যই একটি ঘড়ি রাখুন। ভালো ব্র্যান্ডের রুচিসম্মত হাতঘড়ি ব্যবহার করাই ভালো এতে চলতে ফিরতে বা কর্মক্ষেত্রে আপনার সুন্দর রুচির পরিচয় ফুটে উঠবে।
১৭. যেসব অফিসের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট করে দেয়া কোনো পোশাক নেই সেসব ক্ষেত্রে জাঁকালো বা চোখ ধাঁধানো পোশাক পরিহার করে মার্জিত ও ভদ্র পোশাক পরুন।
১৮. বড় চুল বা ঝুটি, গলায় চেইন, হাতে আংটি, এগুলো সাধারণত পেশাদারিত্ব ক্ষুন্ন করে।
১৯. নিয়মিত চুল ও নখ কেটে ছোট রাখবেন।
২০. গ্যাস্ট্রিক, এলার্জি, হাপানি ইত্যাদি রোগ থাকলে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সাথেই রাখুন। কারণ প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে এসব নাও থাকতে পারে।
এইচএন/আরআই