ভিডিও EN
  1. Home/
  2. সাহিত্য

রাইসুল এইচ চৌধুরীর কবিতা

অনির্বচনীয় এবং ভীষণ একা

সাহিত্য ডেস্ক | প্রকাশিত: ০১:০৫ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

অনির্বচনীয়

এমন কোনো কলম কি আছে!
যা দিয়ে তোমাকে লেখা যায়?
তোমাকে পড়া যায় কোনো বর্ণমালায়;
আমার ঠোঁটের বাঁকে মিছে-মিছে
অজস্র কথামালা দোল খায়;
রংতুলির সব রং শুকিয়ে-শুকিয়ে মিশে যায়
সুদূর নিলীমায়,
প্রশ্নগুলো কড়া নাড়ে হৃদয় দরজায়
এত রূপ কোথা থেকে পেলে?
বসফরাসের জল রোদের গন্ধে মিলায়
পরিযায়ী কল্পনাগুলো ডানা মেলে
স্বপ্নের চিল ওড়ে ইথারের ছায়ায়;
তোমার স্পর্শ মিশে লাজুক দুপুরে
চুপিচুপি বাঁশি বাজে এই অবেলায়;
আমি ল্যাম্পপোস্ট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকি, তোমার শহরে;
এমন কোনো বিশ্বাসকোষ কি আছে!
যা দিয়ে তোমাকে বর্ণনা করা যায়?

খোলাচুল হাওয়ায় দোলে
দখিনা জানালায়;
আকাশী শাড়ির আঁচল ছন্দ তোলে
সারা মহল্লায়;
তোমার শরীরের সুবাস কস্তুরীমৃগ
ক্লান্তিময় দিনের করে অবসান;
তাবৎ পৃথিবী খুঁজে পায় স্বর্ণমৃগ
লেখে নতুন আফসান,
এমন কোনো স্পর্শ কি আছে!
যা দিয়ে তোমাকে ভোলা যায়?

জীবন ছায়াপথে তোমার রূপের রেণুমাখা
দিবস-রজনী স্মৃতির ডায়েরি খুলে;
খুঁজে ফিরি, সবই যেন আজও অদেখা
জাগতিক কোলাহল সবকিছু ভুলে;
তোমাকে দেখার তৃষ্ণা পাখা মেলে
হাত রাখি তোমার খোলা চুলে!
সূর্যের মতো নিয়ম করে হেসে খেলে
তোমার চুলের ঘ্রাণ নিই;
এক চিমটি কাজল গুঁজে দিই
মায়াবী চোখের পাঁপড়িতে;
তারপর তোমার কপোলের টোল
আভা ছড়ায়, শহর, জনপদ, সমগ্র নগরীতে;
এমন কোনো কবিতা কি আছে!
যা দিয়ে তোমাকে অলঙ্কৃত করা যায়?

*****

ভীষণ একা

যেভাবে ভাবি যখন ভাবি
আসলে আমি ভীষণ একা
একলা সকাল, একলা বিকেল
একলা পায়ের নূপুর যেমন
ভীষণ একা;
একলা শালিক দিনের শেষে;
রাতের শেষে-
চুপটি করে থাকে একা
আমি তেমন ভীষণ একা!
ভীষণ একা, ভীষণ একা।

রাত পোহালে সকাল যেমন
নদীর জলে শ্যাওলা যেমন
কাকচক্ষু জলের নিচে
কানাবগি চক্ষু মেলে
যেমন করে একলা আকাশ
বয়ে চলে জীবনব্যাপী;
যেমন করে রোদের ঘ্রাণে
ডানা শুকোয় একলা বিকেল
আমি তেমন ভীষণ একা
ভীষণ একা, ভীষণ একা।

দিবস কাটে একলা আমার
রাত্রি কাটে একলা আমার
নাইতে গেলে দিঘির জলে
কত শত প্রশ্ন জাগে!
শাপলা-শালুক, শামুক-ঝিনুক
সবাই বুঝি একলা এমন!
কষ্ট লুকোয় বুকের কোণে
অশ্রুবিহীন চোখের কোণে
সবাই কেন একলা চলে!
পৃথিবীটা একলা যেমন
আকাশের চাঁদ একলা যেমন
আমি তেমন ভীষণ একা
ভীষণ একা, ভীষণ একা।

এসইউ/এএসএম

আরও পড়ুন