ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

যশোরে কালের কণ্ঠের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১০:১১ এএম, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন ও দুই সাংবাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রীর আদালতে মানহানির অভিযোগে পিটিশন মামলাটি করেছেন যশোর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহারুল ইসলাম।

ইমদাদুল হক মিলন ছাড়াও এই মামলার আসামিরা হলেন, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের ময়নাল হোসেন, রিপোর্টার হায়দার আলী ও তৈমুর ফারুক তুষার।

পিটিশনে শাহারুল ইসলাম নিজেকে একজন সহজ-সরল ও আইন মান্যকারী ব্যক্তি হিসাবে উল্লেখ করে বলেছেন, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।

রাজনীতির পাশপাশি ব্যবসা ও সমাজসেবা করে মানুষের সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র হয়েছেন। আর আসামিরা হলুদ সাংবাদিকতায় জড়িত। গত ২ জানুয়ারি কালের কন্ঠের প্রথম পাতায় প্রথম কলমে `আওয়ামী লীগের জেলার নেতারা আখের গোছানোয় মগ্ন` শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। রিপোর্টের সব লাইনে ছিল টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, দখলবাজিত্ব প্রভৃতি।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, শাহীন চাকলাদারের অধিপত্য রক্ষায় তার চাচাতো ভাই রেন্টু চাকলাদার, ফন্টু চাকলাদার, শাহারুল ইসলাম মাঠে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে থাকেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় বিভিন্ন সময়ে বহু মামলা হয়েছে।

প্রতিবেদনের আরো উল্লেখ করা হয়েছে- শাহীন চাকলাদারের হাতে গত দুই তিন বছরে দলে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। যশোর সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক রিপন হোসেন, শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান, বাস্তুহার লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মঞ্জুর রশিদ হত্যায় শাহীন চাকলাদারের অনুসারিদের জড়িত থাকার অভিযোগ আছে।

এই তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও মানহানিকর। কারণ রিপন হোসেন কখনও আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন না। আর শাহীন চাকলাদার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, রেন্টু চাকলাদার যশোর পৌরসভার মেয়র, ফন্টু চাকলাদার একজন ব্যবসায়ী। এই রিপোর্টটি প্রকাশ হওয়ায় তাদের মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বসে সংবাদপত্রটি পড়েন শাহারুল ইসলাম। এই সংবাদ পড়ার সময় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন শাহীন চাকলাদার, রেন্টু চাকলাদার, ফন্টু চাকলাদার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল, আইন বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদ কবীর কাকন। তারা সকলেই এই মামলার সাক্ষী।

মিলন রহমান/এআরএ/পিআর