নাগরিক টিভির সাংবাদিক হেনস্তা, বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা

পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় এক পুলিশ সদস্যের হেনস্তার শিকার হয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) স্থায়ী সদস্য ও বেসরকারি নাগরিক টিভির সিনিয়র রিপোর্টার সাইদ আরমান।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন (বুম) কেড়ে নেন ওই পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে ডিআরইউর কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি মুরসালিন নোমানী এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ভুক্তভোগী সাইদ আরমান সাংবাদিকদের জানান, রোববার জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পূর্বঘোষণা অনুযায়ী পদত্যাগপত্র জমা দিতে যান। এ উপলক্ষে বিভিন্ন টিভি চ্যানেল সংসদের ভেতরে এবং বাইরে থেকে দফায় দফায় লাইভ করে। তিনিও লাইভ করেন। বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পর তিনি সংসদ ভবনের বাইরে দক্ষিণ প্লাজার পাশের রাস্তায় দুপুর ২টার সংবাদে লাইভ দেওয়ার সময় একজন পুলিশ সদস্য অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তার মাইক্রোফোন কেড়ে নেন। তাকে সেখান থেকে সরিয়ে দেন, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়।
অন্যদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে ডিআরইউর নেতারা বলেন, সাইদ আরমান তার পেশাগত দায়িত্বরত ছিলেন। লাইভ চলাকালে তার কাছ থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে। এটা ন্যক্কারজনক। এটা স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার অন্তরায়। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে প্রশাসনকে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তারা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে নাগরিক টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক শাহনাজ শারমীন বলেন, পুলিশ অতি উৎসাহিত হয়ে আমাদের রিপোর্টারকে হেনস্তা করেছে। যা লাইভেই দেখা গেছে।
তিনি বলেন, একজন কনস্টেবলের হাতে ওয়াকিটকি এলো কীভাবে। তার আচরণ ছিল উদ্দেশ্যমূলক। তার এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থার দাবি করছি।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি হারুন অর রশীদ ও সাধারণ সম্পাদক নাফিজা দৌলা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, সাইদ আরমান পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন। লাইভ চলাকালে যেভাবে তার কাছ থেকে বুম কেড়ে নিয়ে হেনস্তা করা হয়েছে, এটা ন্যক্কারজনক। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জোড় দাবি জানাচ্ছি।
এনএইচ/এমএএইচ/জিকেএস
বিজ্ঞাপন