ভিডিও EN
  1. Home/
  2. গণমাধ্যম

ডিআরইউর এজিএম অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:০২ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২৩

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় এজিএম শুরু হয়। এজিএম উপলক্ষে ডিআরইউর সদস্যদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে পুরো সেগুনবাগিচা এলাকা।

এজিএমের শুরুতে গত এক বছরে মারা যাওয়া সদস্যদের জন্য শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এসময় তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর তুলে ধরা হয় ২০২৩ সালের আর্থিক প্রতিবেদন।

ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল সদস্যদের উদ্দেশে ‘সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন’ উপস্থাপন করেন। পর্যায়ক্রমে গঠনতন্ত্র সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন, উপস্থাপিত প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা এবং সবশেষে সাধারণ সম্পাদকের প্রতিবেদন ও আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় এজিএম।

বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। ডিআরইউ সদস্যরা ভোট দিয়ে এক বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।

নির্বাচন উপলক্ষে শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) প্রাঙ্গণ। সকাল থেকে ডিআরইউ প্রাঙ্গণে প্রার্থীদের প্রচারণায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়।

গত কয়েকদিন ধরেই রিপোর্টারদের সবচেয়ে বড় পেশাদারীএই সংগঠনের নির্বাচনে জয়ের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন প্রার্থীরা। আজও প্রার্থীরা প্রচার চালাচ্ছেন। যোগ্য কার্যনির্বাহী পরিষদ বেছে নিতে সদস্যদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো কমতি নেই। নির্বাচনের সময় বলে ভোটারদের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো।

ডিআরইউ চত্তর, বাগান, ল্যাবসহ সবখানে এখন সদস্যদের উপস্থিতি। প্রার্থীরা তাদের সঙ্গে কথা বলছেন, নিজের জন্য ভোট চাইছেন। নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দোরগোড়ায় যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এ ভোটগ্রহণ চলবে।

প্রার্থী যারা
এবারের নির্বাচনে সভাপতির পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন চারজন। তারা হলেন, কবির আহমেদ খান, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ এবং জহিরুল হক রানা।

সাধারণ সম্পাদকের পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেন, মাইনুল হাসান সোহেল, আব্দুল্লাহ আল কাফি ও মহিউদ্দিন।

সহ-সভাপতির একটি পদে যে তিনজন ভোট করছেন তারা হলেন, গাযী আনোয়ার, হালিম মোহাম্মদ এবং শফিকুল ইসলাম শামীম।

যুগ্ম সম্পাদকের একটি পদে মাইদুর রহমান রুবেল এবং মিজানুর রহমান (মিজান রহমান) ভোট করছেন। এছাড়া অর্থ সম্পাদক পদে কামরুজ্জামান বাবলু এবং জাকির হুসাইন রয়েছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে লড়ছেন চারজন। তারা হলেন, আবদুল হাই তুহিন, হাসান জাবেদ, খালিদ সাইফুল্লাহ এবং এম এম জসিম।

এছাড়া দপ্তর সম্পাদক পদে শাহাবুদ্দিন মাহতাব এবং রফিক রাফি, নারী বিষয়ক সম্পাদক পদে মাহমুদা ডলি এবং রোজিনা রোজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মেসবাহ উল্লাহ শিমুল এবং সুশান্ত কুমার সাহা, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক পদে রাশিম (রাশিম মোল্লা) এবং এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (সুমন), ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাকসুদা লিসা এবং মাহবুবুর রহমান, অপ্যায়ন সম্পাদক পদে আমিনুল হক ভূঁইয়া এবং মোহম্মেদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক পদে তানভীর আহমেদ এবং নার্গিস জুঁই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন।

কার্যনির্বাহী সদস্যের সাতটি পদের জন্য প্রার্থী রয়েছেন আটজন। তারা হলেন- দেলোয়ার হোসেন মহিন, ফারহানা ইয়াছমিন (জুঁথী), হাবিবুর রহমান (হাবিব রহমান), হাসান ইমাম ইমরান, শরীফুল ইসলাম, মুহিববুল্লাহ মুহিব, রফিক মৃধা, সাঈদ শিপন।

এনএইচ/কেএসআর/জিকেএস