যাত্রাবাড়ীতে ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেফতার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে দুর্ধর্ষ ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের তিন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাইফুল (৩০), মো. রাব্বি হোসেন ওরফে বোচা রাব্বি (২৭) ও মো. রাতুল (২২)।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এদিন ভোর ৫টা নাগাদ যাত্রাবাড়ী থানার শনিরআখড়া এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি-ওয়ারী বিভাগের বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪টা নাগাদ চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে ঢাকার দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী দাগুখাঁন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে একজন যাত্রী মালামালসহ নামেন। সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কয়েকজন দুষ্কৃতকারী ছুরি, চাপাতি ও অন্যান্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে সেই যাত্রীর কাছে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।

তিনি বলেন, এই ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারে থানা পুলিশের পাশাপাশি জোর তৎপরতা শুরু করে ডিবি। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় দুষ্কৃতকারীদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হয় ডিবি-ওয়ারী বিভাগ। এরই ধারাবাহিকতায় শনিরআখড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ পেশাদার ডাকাত ও ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাতে পথচারীদের পথরোধ করে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ও আঘাত করে মূল্যবান সামগ্রী ছিনিয়ে নিতো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কদমতলী ও যাত্রাবাড়ী থানায় ছিনতাই ও ডাকাতির প্রস্তুতির একাধিক মামলাও রয়েছে।

আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে তিনি বলেন, ঘটনায় জড়িতদের পলাতক সহযোগী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কেআর/এএমএ/জিকেএস