এস আলমের অর্থপাচার: ইসলামী ব্যাংকের ১২ শীর্ষ কর্মকর্তাকে তলব

এস আলম গ্রুপের অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ১২ শীর্ষ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের আগামী ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি দুদকের উপপরিচালক আবু সাঈদ সই করা এই তলবি চিঠি ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে। তলবি চিঠিতে দুদকে হাজির হওয়ার সময়, উল্লিখিত কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র, টিআইএন ও পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। তলবি নোটিশের একটি কপি জাগো নিউজের সংগ্রহে রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুর, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ড, সাইপ্রাস ও অন্যান্য দেশে এক বিলিয়ন ডলার পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের মোনিকো ফার্মা লিমিটেডের অনুকূলে ১০০ কোটি টাকা ঋণ/বিনিয়োগ সংক্রান্ত বক্তব্য গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন।’
ব্যাংকটির ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের এসভিপি মো. নাজমুল হুদা সিরাজী, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট দিলরুবা হায়াত, এফএডিপি মো. আবু হানিফ, এসপিও শরিফুল ইসলাম, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলমের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম, ব্যাংকটির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সাঈদ মোহাম্মদ কাসেমকে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে দুদকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ব্যাংকটির পর্যবেক্ষক ও পরিচালক মো. সারওয়ার হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তফা চৌধুরী, ইভিপি মো. শামসুদ্দোহা, মীর রহমত উল্লাহ, এসইভিপি আবু সাঈদ মো. ইদ্রিস ও ডিএমডি কাজী মো. রেজাউল করিমকে ২৭ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছে।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সাইফুল আলমের ছেলে আহসানুল আলমসহ ৫৮ বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক।
গত ২১ আগস্ট সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে দুদক।
২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেয় এস আলম গ্রুপ। এরপর বিভিন্ন সময় ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
এসএম/ইএ/এএসএম