ফাঁকা ঢাকায় বাড়ছে সবজির দাম!
রাজধানী ঢাকা এখন একরকম ফাঁকা। চলার পথে নেই মানুষের চিরচেনা জটলা। সড়কে নেই যানজট। নগরবাসীদের অনেকেই এসময়ে গ্রামে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। ফাঁকা ঢাকায় মানুষের চাপ কমার পাশাপাশি গত দু-তিনদিনে কাঁচাপণ্যের সরবরাহও অনেকটাই কমেছে। নগরীর অলিগলিতেও আগের মতো সবজির ভ্যান নেই। কোথাও দু-একটি ভ্যান চোখে পড়লেও সেগুলোতে সবজির দাম রমজানের চেয়ে অনেকটাই চড়া।
এসব ভ্যানের খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ না থাকায় পাইকারি বাজারে সবজির সংকট তৈরি হয়েছে। এ কারণে তাদের মতো খুচরা বিক্রেতাদের বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। ফলে বিক্রিও করতে হচ্ছে কিছুটা চড়া দামে।
মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া ও আগারগাঁও এলাকার বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আরও পড়ুন
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভ্যানে গোল বেগুন ১০০ টাকা ও লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি শসার কেজি ৯০ টাকা, গাজর ৪০, টমেটো ৮০, পটল ১০০, ঢ্যাঁড়স ৬০, চিচিঙ্গা ৬০, লতি ৮০, বরবটি ৮০ এবং পেঁপের কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া এসব ভ্যানে কাঁচা কলা ২০ টাকা হালি, লেবু ৪০ টাকা হালি, পালং শাকের আঁটি ২০ টাকা, লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এর বাইরে ধনিয়া পাতা ১০০ টাকা ও মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।
শফিকুল ইসলাম নামে শেওড়াপাড়ার এক সবজি বিক্রেতা বলেন, এখন তো সাপ্লাই নাই। তাই দাম একটু বেশি। সাভার-আশুলিয়াসহ ঢাকার আশপাশ থেকে এখন যা সবজি আসছে, সেগুলো দিয়েই বাজার চলছে।

জানতে চাইলে অন্য এলাকার দোকানিরাও একই কথা বলেন। তারা জানান, কেনা দাম কম পড়লে তারা কম দামে বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু এখন তাদের পাইকারিতেই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে বেশি দামে কিনে কমে বিক্রির সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন
আকবর নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, সবজির দাম কিন্তু তেমন বাড়েনি৷ দু-একটি সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে ঈদের ছুটি শেষে সরবরাহ স্বাভাবিক হলে দামও কমে যাবে।
এসইউজে/এমকেআর/এমএস