ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৯৯৯-এ ফোন করে অভিযোগ

৬ মাস নারীকে বাসায় আটকে ধর্ষণ করেন নোবেল: পুলিশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ২০ মে ২০২৫

রাজধানীর ডেমরা থানায় ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে (৩১) গ্রেফতার করেছে ডিএমপির ডেমরা থানা পুলিশ।

পুলিশ বলছে, নোবেলের ডেমরার বাসার স্টুডিও দেখানোর উদ্দেশ্যে ভুক্তভোগী নারীকে নিয়ে এসে আটকে রাখে। পরে নোবেল ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল ভেঙে ফেলেন এবং নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারধর ও ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ১৯ মে পর্যন্ত ভুক্তভোগীকে নোবেলের বাসায় আটকে রাখা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২০ মে) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য জানান।

সোমবার দিনগত রাত ১টা ৫০ মিনিটের দিকে ডেমরা থানাধীন স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা থেকে নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

উপ-পুলিশ কমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর পরিচয় হয় এবং ওই নারীর সঙ্গে মাঝেমধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ হতো। গত বছরের ১২ নভেম্বর নোবেল ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে মোহাম্মদপুর গিয়ে দেখা করেন এবং তার ডেমরার বাসার স্টুডিও দেখানোর উদ্দেশ্যে বাসায় নিয়ে যান। এরপর আরও দু-তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির সহায়তায় বাসায় আটকে রাখা হয় মেয়েটিকে।

আরও পড়ুন:

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ঘটনার সময় নোবেল ভুক্তভোগী নারীর মোবাইল ভেঙে ফেলেন, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মারধর করে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।

এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোবেলের ভুক্তভোগীকে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যার মাধ্যমে ভুক্তভোগীর পরিবার তাকে চিনতে পেরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে।

৯৯৯ এর কলের সাপেক্ষে ১৯ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডেমরা থানা পুলিশ ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডেমরা থানায় একটি নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলাটি তদন্তকালে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেফতার করা হয়।

টিটি/এসএনআর/জেআইএম

বিজ্ঞাপন