৩৭ মাসেও মেলেনি ক্ষতিপূরণ
পায়রা বন্দরে উচ্ছেদ রাখাইন পরিবারগুলোর পুনর্বাসন দাবি

পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের জন্য জমি অধিগ্রহণের কারণে উচ্ছেদ হওয়া ছয়টি রাখাইন পরিবার ৩৭ মাসেও জমির ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছে। পাশাপাশি তারা সম্মানজনক পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানানো হয়। আলোচনা সভা আয়োজন করে ‘উচ্ছেদকৃত ৬টি রাখাইন পরিবার ও নাগরিক উদ্যোগ’।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। তিনি বলেন, ‘রাখাইন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের নামে এমন জায়গায় রাখা হয়েছে, যেখানে তারা নিজেদের সাংস্কৃতিকভাবে মানিয়ে নিতে পারছে না। মাসিক ভাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করে দিয়েছে। আদিবাসীদের উচ্ছেদ করে উন্নয়নের নামে জাদুঘর বানানো এক নির্মম আত্মপ্রবঞ্চনা।’
- আরও পড়ুন
সচিবালয়ে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ ডিএমপির
বছর গড়ালেও উদ্ঘাটন হয়নি আনার হত্যার রহস্য, তদন্তভার সিআইডিতে
উচ্ছেদ হওয়া এক পরিবারের প্রতিনিধি চিং ধামো বলেন, ‘পায়রা বন্দরের জন্য দ্বিতীয় দফায় জমি অধিগ্রহণের সময় আমাদের ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বসতভিটা অধিগ্রহণ করা হয়। পূর্ব কোনো আলোচনা ছাড়াই আমাদের ঘরবাড়ি নেওয়া হয়। বসতবাড়ি ও গাছের ক্ষতিপূরণ পেলেও জমির মূল্য পাইনি।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘৩৭ মাস পার হলেও কার্যকর কোনো সমাধান হয়নি। মাসে ৫ হাজার টাকা বাসাভাড়া দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ছয় মাস পরই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা দ্রুত পূর্ণাঙ্গ পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন শামসুল হুদা, নাজমুল হক প্রধান, মেইনথিন প্রমীলা, জাকির হোসেন এবং মংচোথিন তালুকদার। তারা বলেন, ‘উন্নয়নের নামে আদিবাসীদের ভূমি অধিগ্রহণের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে তাদের উচ্ছেদ ও সংস্কৃতি নিঃশেষের চেষ্টা চলছে।’
বিজ্ঞাপন
আলোচনা সভা শেষে বক্তারা জানান, উচ্ছেদ হওয়া রাখাইন পরিবারের পক্ষ থেকে নৌপরিবহন উপদেষ্টার কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করা হবে।
এএএম/কেএসআর
বিজ্ঞাপন