সায়েদাবাদ-যাত্রাবাড়ী টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

নাড়ির টানে বাড়ি যেতে পরিবার পরিজন নিয়ে অনেকেই সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী টার্মিনালে উপস্থিত হয়েছেন। কারো হাতে অগ্রিম টিকিট, আবার কারো হাতে ব্যাগ কিংবা লাগেজ। আগামী ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে এভাবেই ঢাকা ছাড়ছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
কারও গন্তব্য বরিশাল, পটুয়াখালী, আবার কেউ যশোর। অনেকে সাতক্ষীরা, কেউ গোপালগঞ্জ, খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট কিংবা বেনাপোল যাচ্ছেন ঈদ করতে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কক্সবাজার, সিলেট, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জসহ এই অঞ্চলের ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে সবার মুখে আনন্দের ছাপ। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-বরিশাল, খুলনা মহাসড়ক ও সিলেট, চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ভিড় বাড়ছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও জনপথের মোড়ে আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের ভিড়। প্রায় প্রতিটি কাউন্টারেই টিকিট নিয়ে চলছে দরদাম। দর কষাকষির মাধ্যমে বিক্রি হচ্ছে টিকিট।
যাত্রীদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, ঈদ এলেই ভাড়া বেড়ে যায়। দু-একটি পরিবহন ছাড়া কোথাও টিকিটের সংকট নেই। তবুও কিছু পরিবহন মূল ভাড়ার চেয়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা বেশিতে টিকিট বিক্রি করছে। একসঙ্গে তিন-চারজন গেলে দামাদামি করে কিছু টাকা কম নিচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
এদিকে, ছোট-বড় যানবাহনের চাপ বাড়ছে পদ্মসেতুতেও। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক এখনও স্বাভাবিক বলা চলে।
রাজধানী থেকে বের হওয়ার পথে তেমন জ্যাম না থাকলেও সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী প্রবেশের ক্ষেত্রে যানজটের ধাক্কা সামাল দিতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পথে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথগুলো হচ্ছে গুলিস্তান-সায়েদাবাদ-যাত্রীবাড়ী, দোলাইপাড় মোড়-জুরাইরেলক্রসিং, বংশাল মোড়-বাবুবাজার ব্রিজ, গাবতলী মোড়-আমিনবাজার ব্রিজ,আব্দুল্লাপুর মোড়-কামারপাড়া, যাত্রাবাড়ী-ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার মোড় ওসাইনবোর্ড-কাঁচপুর ব্রিজ।
বিজ্ঞাপন
ঈদে টানা ১০ দিনের লম্বা ছুটি। তাই বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ নানা মাধ্যমে বাড়ির দিকে ছুটছে নগরবাসী। সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়সহ আছে নানা অভিযোগ। আবার অনেকে বলছেন, এবারের ব্যবস্থাপনা অন্যবারের চেয়ে ভালো।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেন যাত্রীরা। পুলিশ, আনসারের পাশাপাশি নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন সেনাসদস্যরাও।
ঈদ ও ছুটিতে ভাড়া নিয়ে বরাবরের মতো অভিযোগ তুলে এ রুটের যাত্রী আজিজুল হক জাগো নিউজকে বলেন, দুই ভাই মিলে বাড়ি যাবো। দরদাম করে টিকিট কিনতে হচ্ছে। যে-যেভাবে দরদাম করতে পারে। কেউ ৫০-১০০ টাকা বেশি, কেউ আবার তা কমে দিয়ে টিকিট কিনতে বাধ্য হচ্ছে। ১৮৫০ টাকা দিয়ে দুটি টিকিট নিতে হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এফএইচ/এসএনআর/এএসএম
বিজ্ঞাপন