সদরঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড়

ঈদযাত্রায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। গত দুই দিনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যহারে যাত্রীর চাপ বেড়েছে এখানে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সদরঘাট কন্ট্রোলরুম সূত্রে জানা গেছে, আজ রাত ৯টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ঢাকা থেকে বিভিন্ন রুটে ৮৮টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে এবং এসেছে ১০০টি। প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে, তবে ভিড় এখনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কুলিদের তাড়াহুড়ো বা টিকিট নিয়ে হট্টগোলের দৃশ্য এখনও তেমন দেখা যায়নি।
বরগুনার যাত্রী সোলায়মান হোসেন বলেন, ভিড় অবশ্যই বেড়েছে, তবে অন্যবারের মতো হিমশিম খেতে হচ্ছে না। এবার কেবিনও সহজে মিলেছে। ভাড়াও বাড়েনি এটা স্বস্তিদায়ক।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
কুয়াকাটাগামী যাত্রী রত্না আক্তার বলেন, আমি পোশাক কারখানায় কাজ করি। আজই ছুটি পেয়েছি। রাস্তায় কিছু যানজটে পড়লেও সদরঘাটে এসে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। লঞ্চে উঠতে সুবিধা হয়েছে, লোকজনও সহায়তা করছে। বাস ট্রেনে টিকিট পাইনি কিন্তু লঞ্চের ডেকে জায়গা পেয়েছি। আরেকটু আগে আসলে কেবিন পাইতাম।
লঞ্চ ম্যানেজার মো. রাসেল মিয়া বলেন, আজ সকাল থেকেই যাত্রীর চাপ বেড়ে গেছে। আমরা স্টাফদের প্রস্তুত রেখেছি, যেন কাউকে কষ্ট না হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও সমন্বয় করে কাজ করছি। তবে গুলিস্তানের যানজট এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা, অনেকে সময়মতো ঘাটে আসতেই পারছে না।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
লঞ্চ মালিকপক্ষ জানায়, গত কয়েক দিনের খারাপ আবহাওয়ার কারণে লঞ্চ চলাচলে যে ছন্দপতন হয়েছিল, এখন তা অনেকটাই কেটে গেছে। সকাল থেকেই দূরপাল্লার বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও লঞ্চ মালিকপক্ষ নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বিজ্ঞাপন
সদরঘাট লঞ্চ মালিক সমিতির সদস্যসচিব সিদ্দিকুর রহমান জানান, আজ ঈদের আগের দিনগুলোর মধ্যে অন্যতম ব্যস্ত সময়। যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, তবে এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঈদের বিশেষ লঞ্চ এখনো নামানো হয়নি, তবে চাপ বাড়লে আগামীকাল থেকে কয়েকটি অতিরিক্ত লঞ্চ যুক্ত করা হতে পারে। ভাড়া আগের মতোই রয়েছে, কোথাও বাড়ানো হয়নি।
ঢাকা ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ বলেন, আমাদের মূল যাত্রী গার্মেন্টস খাতের শ্রমিকরা। গার্মেন্টস ছুটি কার্যকর হওয়ায় আজ থেকেই চাপ বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষ করে কেবিনের যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। আগামীকাল এই চাপ আরও দ্বিগুণ হবে বলে ধারণা করছি।
সদরঘাটে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোবারক হোসেন জাগো নিউজকে জানান, আজ সকাল থেকেই আমরা ঘাটে অতিরিক্ত লোকবল ও টহল জোরদার করেছি। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। ভোগান্তি কমাতে কেবিন টিকিট মনিটরিংসহ যাত্রীসেবা বুথ চালু করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এমআইএইচএস/
বিজ্ঞাপন