দাম পড়ে গেছে খাইট্টা-পাটির, ক্রেতা কম ছুরি-চাপাতির

‘এটা যে ঈদের আগের দিন মনেই হচ্ছে না। বেচাকেনার ব্যস্ততা নাই। এমন মন্দা হবে আশা করি নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর কারওয়ান বাজারের জেরিন হার্ডওয়্যারে ছুরি ও চাপাতি বিক্রেতা শাহাবুদ্দিন।
রাত পোহালেই ঈদ। তবে কারওয়ান বাজারে ছুরি, চাপাতি, খাইট্টা, পাটির দোকানে ভিড় দেখা যায়নি। বিক্রেতারা বলছেন, এবার পশু বিক্রি কম হওয়ায় এসব পণ্যের চাহিদা কমেছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে এসব পণ্যের দোকানে ক্রেতাখরা দেখা গেছে। জেরিন হার্ডওয়্যারে অলস সময় কাটাতে দেখা যায় শাহাবুদ্দিনকে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘এখন তো দম ফেলার সময় থাকার কথা না। অথচ বসে আছি। বেচাকেনা একেবারে কম। রাতে বিক্রি বাড়বে কি না জানা নেই।’
দোকানে দেশি চাপাতি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, চায়নিজ চাপাতি ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা, চামড়া ছেলার ছুরি ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, জবাই করার ছুরি ১২০০ টাকা আর মাংস কাটার ছুরি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন
ভোলা হার্ডওয়্যারের মালিক আল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, ‘চামড়া ছেলার ছুরি বিক্রি হচ্ছে। চাপাতি, মাংস কাটার ছুরি বা একসেট ছুরি বিক্রি একেবারেই কম হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে আমাদের একটা টার্গেট থাকে। একটা প্রস্তুতি থাকে। এবার বাজার অনেক খারাপ।’
বিজ্ঞাপন
কারওয়ান বাজারে ভ্রাম্যমাণ খাইট্টা, হোগলা পাটির দোকান ঘুরে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় এসব পণ্যের দাম কমেছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা। যে খাইট্টা গতকাল ১০০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আজ তার দাম চাচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। হোগলা পাতার ৪ বাই ৫ হাতের পাটি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গতকাল বিক্রি হয়েছে ৩০০ টাকায়।
বিক্রেতা নাসিম বলেন, ‘কাল ঈদ। আজকের পরে এগুলা আর বিক্রি হবে না। তাই ছেড়ে দিচ্ছি। সন্ধ্যার পর ক্রেতা বেশি হলে আর মাল কম হলে দাম বাড়বে।’
বিজ্ঞাপন
আজিমপুর থেকে আসা ক্রেতা নাজমুন নাহার বলেন, ‘কাল বড় আকারের খাইট্টা বলছিল ১২০০ টাকা, আজ ৭০০ টাকা বলছে। আমি কয়েকটি দোকান ঘুরে আরও কমদামে নেওয়ার চেষ্টা করছি।’
এসএম/বিএ/এমএস
বিজ্ঞাপন