ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নতুন পোশাকে শিশুদের ঈদ উৎসবে রঙিন পার্কের পরিবেশ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ১০ জুন ২০২৫

পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে রাজধানীর গুলশানের শিশুপার্কগুলোতে মানুষের ভিড় বেড়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু-কিশোরদের নিয়ে পার্কে ভিড় করছেন পরিবারের সদস্যরা।

রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার বিপরীতে রয়েছে শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্ক। নান্দনিক এ পার্কটি শব্দ দূষণমুক্ত। মঙ্গলবার (১০ জুন) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, পার্কের চারপাশের সড়কে যানবাহন চললেও ভেতরে তেমন শব্দ নেই, যা দেশের অন্য পার্ক থেকে আলাদা। এর ভেতর অনেক শিশু-কিশোরকে বিভিন্ন রাইডে খেলাধুলা করতে দেখা যায়। তাদের সময় দিচ্ছেন অভিভাবকরা। তবে তীব্র তাপপ্রবাহে সবাইকে ঘামতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

নিকেতনের বাসা থেকে চার বছরের শিশুকে নিয়ে ওই পার্কে ঘুরতে গেছেন আসলাম খন্দকার। তিনি বলেন, তিনি নিয়মিতই এই পার্কে ছেলে নাহিদ খন্দকারকে নিয়ে ঘুরতে যান। তবে এখন পার্কে যারা ঘুরতে আসছেন, তাদের সবার মধ্যে ঈদ আনন্দ বিরাজ করছে। সব শিশু-কিশোর নতুন নতুন জামা-কাপড় পরে আসছে। এতে পার্কটিও রঙিন লাগছে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকার যে কোনো এলাকার চেয়ে ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের পরিবেশ এবং এখানে থাকা শিশুদের রাইডগুলো ব্যতিক্রম। এখানে স্বাভাবিক সময়ও প্রচুর দর্শনার্থী যান। এখন ঈদ উৎসবেও তার কমতি নেই।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

নতুন পোশাকে শিশুদের ঈদ উৎসবে রঙিন পার্কের পরিবেশ

দুই শিশুসন্তানসহ পরিবারের ছয় সদস্যকে নিয়ে ডা. ফজলে বাব্বি পার্কে ঘুরতে আসেন দক্ষিণ বাড্ডার বাসিন্দা মাসুদ রানা। তিনি পেশায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরে। আলাপকালে মাসুদ বলেন, ঈদে পাঁচদিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বরিশালে যাই। পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে সেখানেই ঈদ করেছি। সোমবার (৯ জুন) ঢাকায় ফেরার পর থেকে শিশুপার্কে যাওয়ার বায়না ধরে স্কুলপড়ুয়া দুই ছেলে। তাই সবাই মিলে আজ পার্কে ঘুরতে আসছি। সবাই খুব আনন্দ পাচ্ছি। তবে গরমে অনেক কষ্ট হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গুলশান-২ এর ১৩০ নম্বর প্লটে ৮ দশমিক ৮৭ একর আয়তনের জায়গার ওপর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পার্ক। গুলশান এলাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় পার্ক। সরেজমিনে দেখা যায়, এ পার্কের ভেতরে শিশু-কিশোরদের জন্য হরেক রকমের রাইড রয়েছে। ভেতরে ক্রিকেট-ফুটবল খেলার জন্য রয়েছে বড় মাঠ। সেখানে খেলাধুলা করছে শিশুরা।

গুলশান ১৪৩ নম্বর রোডের বাসা থেকে এই পার্কে গেছেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন। সঙ্গে তার ৮ বছরের সন্তানও রয়েছে। আলাপকালে সালাহ উদ্দিন বলেন, সময় পেলেই বাচ্চাকে নিয়ে পার্কে বেড়াতে যাই। তবে এখন ঈদের টানা ছুটি চলায় প্রতিদিনই বাচ্চা পার্কে যেতে চায়। তাকে সময় দিতেই বাসা থেকে বের হয়েছি। পার্কে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে পেরে ছেলে খুবই খুশি।

এমএমএ/এএমএ/এমএস

বিজ্ঞাপন