ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

যুক্তরাজ্যে খেলনা রপ্তানিতে বাংলাদেশ, কারখানা পরিদর্শনে সারাহ কুক

কূটনৈতিক প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:১৫ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৫

শুধু ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক নয় টেডি বিয়ার কিংবা সফট টয়ও এখন রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। পৌঁছে যাচ্ছে দূর-দূরান্তে, এমনকি যুক্তরাজ্যের শিশুদের হাতেও। এই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপদানকারী একটি কারখানা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।

সোমবার (২৮ জুলাই) রাজধানীতে অবস্থিত ‘কাপকেক এক্সপোর্টস’ নামের সফট টয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন সারাহ কুক। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তার সঙ্গে ছিলেন। প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাজ্যে মানসম্পন্ন খেলনা রপ্তানির মাধ্যমে বাংলাদেশে রপ্তানি খাতকে নতুন উচ্চতায় নিতে কাজ করছে।

ঢাকাস্থ ব্রিটিশ হাইকমিশন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিদর্শনকালে কারখানার উৎপাদন প্রক্রিয়া ঘুরে দেখেন হাইকমিশনার ও বিশেষ দূত। তারা প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ, নতুন বাজারে প্রবেশের সম্ভাবনা ও নীতিগত চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো।

এ সময় হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমরা বাণিজ্য সুযোগ বাড়াতে, ব্যবসাবান্ধব সংস্কারকে উৎসাহ দিতে ও যুক্তরাজ্যের ক্রেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের উৎপাদকদের সংযুক্ত করতে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, রপ্তানি বৈচিত্র্য বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্যের ‘ডেভেলপিং কান্ট্রিজ ট্রেডিং স্কিম’ (ডিসিটিএস)-এর আওতায় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো শূন্যশুল্কে পণ্য রপ্তানির সুযোগ পাচ্ছে, যা দুই দেশের জন্যই লাভজনক।

সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সরকার ডিসিটিএস-এর নিয়ম আরও সহজ করেছে। ২০২৫ সালের ১০ জুলাই চালু হওয়া নতুন সংস্কারে রপ্তানিকারকদের জন্য ‘রুলস অব অরিজিন’ বা উৎপত্তি নিয়ম আরও সরল করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর যুক্তরাজ্য বাজারে প্রবেশ সহজ হবে।

বাংলাদেশের জন্য এই স্কিম ২০২৯ সাল পর্যন্ত সব পণ্যের ক্ষেত্রে (অস্ত্র ব্যতীত) সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। এরপরও দেশের ৯৮ শতাংশ রপ্তানি পণ্য যুক্তরাজ্যে শুল্কমুক্ত থাকবে।

জেপিআই/ইএ/জিকেএস