ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সন্দেহের কেন্দ্রে নতুন গৃহকর্মী

বাসার চাবি হারানোর পরদিন ফ্ল্যাটে ঢুকে মা-মেয়েকে হত্যা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:৪০ এএম, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক গৃহবধূ ও তার মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন- মা লায়লা আফরোজ (৪৮) ও তার মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫)।

পুলিশের ধারণা, এ হত্যাকাণ্ডে গৃহকর্মী আয়েশা জড়িত। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহকর্মী পলাতক। তার বয়স ২০ বছর বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, ওই গৃহকর্মী বোরকা পরে বাসায় এসেছিলেন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার পরনে ছিল নিহত নাফিসার স্কুল ড্রেস।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নাফিসার গলায় একাধিক গভীর ক্ষত এবং লায়লার শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাতে গ্লাভস পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মা-মেয়েকে আঘাত করা হয়েছে।

jagonews24.com

ওই বাসার একটি আলমারির জিনিসপত্র এলোমেলো পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মো. খালেক নামে ভবনটির এক নিরাপত্তাকর্মীকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

ভবনের একাধিক সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নাফিসার বাবা স্কুলের উদ্দেশ্যে সকাল ৭টার দিকে বের হয়ে যান। সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে বোরকা পরে ওই বাসার লিফটে উঠে সাত তলায় যায় গৃহকর্মী আয়েশা। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে কাঁধে স্কুল ব্যাগ নিয়ে ড্রেস পরে মুখে মাস্ক লাগিয়ে বের হয়ে যায়।

আরও পড়ুন
মোহাম্মদপুরে বাসা থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার 
আগেই দুই দফা রিমান্ড শেষ, ফের রিমান্ডে নিলে হার্ট অ্যাটাক করবো 

পারিবারিক সূত্র জানায়, নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজের বাবা আজিজুল ইসলাম সকালে স্কুলে গিয়েছিলেন। তিনি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাসায় এসে স্ত্রী–সন্তানের মরদেহ দেখতে পান।

আজিজুল ইসলাম জানান, ভবনের তত্ত্বাবধায়ক ও নিরাপত্তাকর্মীদের মাধ্যমে চার দিন আগে ওই গৃহকর্মীকে কাজে নেন। সকালে এসে বাসার কাজ করে চলে যেত। এর মধ্যে রোববার বাসার মূল দরজার চাবি হারিয়ে যায়। সন্দেহ হলেও গৃহকর্মীকে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয়নি।

আজিজুল বলেন, মেয়েটির পরিচয় ও ফোন নম্বর চেয়েছিলাম। কিন্তু সে বলেছিল, আগুনে পুড়ে তার মা-বাবা মারা গেছেন। সে-ও আগুনে দগ্ধ হয়েছিল। এসব বলে পরিচয় ও ফোন নম্বর দেয়নি।

আজিজুলের গ্রামের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলায়। ২০১২ সাল থেকে তিনি পরিবার নিয়ে বহুতল ভবনটির অষ্টম তলায় নিজের ফ্ল্যাটে থাকতেন।

ময়নাতদন্ত শেষে মা-মেয়ের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানিয়েছেন।

ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান জানান, পুলিশ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খবর পায়। মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানে নেওয়ার পর মারা যায়। পরে মরদেহ দুটি সুরতহালের পর ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ড তদন্তে সব তথ্য যাচাই-বাছাই চলছে বলেও জানান তিনি।

টিটি/কেএসআর