ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উচ্চকক্ষে পিআর বাস্তবায়নে একমত হলেও আলোচনা চায় এনসিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪৩ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঐকমত্যের বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন, যার পদ্ধতি এখনও সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। ফলে একটি অস্পষ্টতা থেকেই গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের ২৩তম দিনের বিরতিতে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আখতার হোসেন।

আখতার বলেন, আমরা কমিশন ও আলী রীয়াজ স্যারের কাছে আহ্বান জানাবো যে বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে যেন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে খোলামেলা ও কার্যকর আলোচনা হয়। কমিশনের প্রস্তাবিত সময়সীমাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি এবং চাইছি যেন এটি তৎক্ষণাৎ কার্যকর হয়।

তিনি বলেন, আজকের আলোচনায় সরকারি কর্ম কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কয়েকটি দল ভিন্নমত পোষণ করলেও সার্বিকভাবে একটি ঐকমত্যের জায়গায় কমিশন পৌঁছেছে।

আখতার বলেন, সারা পৃথিবীতেই এফপিটিপি ও পিআর—উভয় পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বৈধতা রয়েছে। উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাও জনগণের প্রতিনিধি।

তিনি বলেন, যেসব দল এক শতাংশ ভোট পেলেও তারা যেন একজন করে উচ্চকক্ষে প্রতিনিধি দিতে পারেন। এতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের আরও বিস্তৃত রূপ প্রতিষ্ঠিত হবে। আইন পাসের আগে উচ্চকক্ষে ব্যাপক আলোচনা হবে, যা এখন হয় না। এতে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সঠিক ত্রুটি ধরার সুযোগ থাকবে এবং সংসদের বাইরে জনপরিসরে আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি হবে।

আখতার হোসেন বলেন, বর্তমানে যেভাবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দলগুলো সংবিধান সংশোধন করে, সেটি যেন না হয়। বরং উচ্চকক্ষে যদি পিআর পদ্ধতিতে বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিরা থাকেন, তাহলে সংবিধান সংশোধনের বিষয়টিও জনগণের বৃহত্তর প্রতিনিধিত্বের ভিত্তিতে হতে পারবে।

তিনি বলেন, মোটাদাগে আমরা উচ্চকক্ষ চাই। এখন অনেকে বলছেন, পিআর পদ্ধতিতে হলে তারা উচ্চকক্ষ চান না। তাহলে প্রশ্ন উঠে—তারা আদৌ উচ্চকক্ষ চান কি না? আমরা বিশ্বাস করি, ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাব—১০০ আসনের পিআর পদ্ধতিতে উচ্চকক্ষ—বহুদলীয় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করবে। একদল বা দুই দলের কর্তৃত্ব না থেকে বহু দলের অংশগ্রহণে পরিচালিত হবে দেশ। গণতন্ত্র চর্চার সংস্কৃতি গড়ে উঠবে।

আরএএস/এমআইএইচএস/জেআইএম