ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা: কাজের সুযোগ-আয়-স্থায়ী হওয়ার নিয়ম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

আয়ারল্যান্ড, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। ইতিহাস-ঐতিহ্য, অপরূপ প্রকৃতি ও আধুনিক শিক্ষার এক অনন্য মেলবন্ধন রয়েছে এখানে। তাছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) এই সদস্য রাষ্ট্রটির বিশ্বের শীর্ষ শান্তিপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

ম্যানেজমেন্ট, অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, সাইকোলজি বা মেডিসিন ও হেলথ বিষয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য আয়ারল্যান্ড বিশ্বজুড়ে শিক্ষার্থীদের কাছে এক জনপ্রিয় গন্তব্য। তাছাড়া দেশটিতে যাওয়ার জন্য ‘রেস্ট্রিকটেড ব্যাংক অ্যাকাউন্ট’ বা ‘ব্লক অ্যাকাউন্ট’ এরও প্রয়োজন হয় না।

আরও পড়ুন: 

আয়ারল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা, আবেদন প্রক্রিয়া-খরচ ও কাজের সুযোগ

আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ‘স্টাডি ভিসা’ আবশ্যক। আগের প্রতিবেদনে আমরা দেশটির স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া, খরচ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছিলমা। এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক আয়ারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাজ, সঙ্গী নিয়ে যাওয়ার ও নাগরিক হওয়ার সুযোগ সম্পর্কে...

পড়ালেখার পাশাপাশি কাজের সুযোগ

আয়ারল্যান্ডে শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার ভালো সুযোগ রয়েছে। স্টুডেন্ট ভিসাধারীরা শিক্ষাবর্ষে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা ও ছুটির সময় (জুন-সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর-জানুয়ারি) সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারেন।

কাজের সুযোগের মধ্যে রয়েছে রেস্তোরাঁ, দোকান ও শপিং মলের মতো খণ্ডকালীন চাকরি, যেখানে ভালো আয়ের সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত ঘণ্টায় ৭ থেকে ১২ ইউরো পর্যন্ত উপার্জন করা যায়।

স্পাউজ বা সঙ্গী নিয়ে যাওয়ার সুযোগ

আয়ারল্যান্ডে শুধুমাত্র পিএইচডি শিক্ষার্থীরা সঙ্গী নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

শিক্ষাক্ষেত্রে গ্যাপ: দেশটিতে ব্যাচেলরে সর্বোচ্চ ৫ বছর ও মাস্টার্সে সর্বোচ্চ ৫-৭ বছরের গ্যাপ বিবেচনায় নেয়।

নাগরিক হওয়া বা পিআর পাওয়ার সুযোগ

আয়ারল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস বা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (পিআর) পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই বৈধভাবে একটানা পাঁচ বছর বসবাস ও নিয়মিত ট্যাক্স দিতে হবে। এই সময়ের মধ্যে আপনি কাজ করতে, পড়াশোনা করতে ও ব্যবসা করতে পারবেন। তবে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে, যেমন ক্রিটিক্যাল স্কিলস এমপ্লয়মেন্ট পারমিটের ক্ষেত্রে দুই বছর পরেই পিআরের জন্য আবেদন করা যায়।

আয়ারল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসার দুটি ধরণ রয়েছে-

১. সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা, যার ফি ৬০ ইউরো বা প্রায় সাড়ে ৮ হাজার টাকা।

২. মাল্টি এন্ট্রি ভিসা, যার ফি ১০০ ইউরো বা ১৪ হাজার টাকার কিছু বেশি। রোববারের (১৬ নভেম্ব, ২০২৫) হিসাবে এক ইউরো = ১৪১.৯৯ টাকা।

যদি আপনার পড়াশোনার অংশ হিসেবে অন্য দেশে যাওয়া প্রয়োজন হয়, তাহলে মাল্টি এন্ট্রি ভিসা নিতে হবে।

পরিস্থিতিভেদে এই ফি অনলাইনে, বাংলাদেশের ভিসা আবেদন কেন্দ্রে বা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়। তবে ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো ও উগান্ডার মতো কিছু দেশ এই ফি থেকে মুক্ত।

টিউশন ফি

ব্যাচেলরে বছরপ্রতি খরচ হবে ৯ হাজার থেকে ১৩ হাজার ইউরো। আর মাস্টার্সে এই খরচ থাকবে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার ইউরোর মধ্যে।

সূত্র: আইরিশ ইমিগ্রেশন,মাস্টার্স পোর্টাল ইউএনবি

এসএএইচ