ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে নিঃসংকোচে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন: সিইসি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪৯ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, যে কোনো ভয়ভীতি, প্রলোভন, প্রবঞ্চনা এবং সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠে নিঃসংকোচে আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করেন সিইসি। তার ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়। তফসিল ঘোষণা করার সময় সিইসি এই তথ্য জানান।

দেশবাসীকে নিঃসংকোচে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, ভোট আপনার শুধু নাগরিক অধিকারই নয় বরং পবিত্র আমানত ও দায়িত্ব। এই দায়িত্ব সচেতনভাবে আপনারা পালন করবেন- এটা আমার বিশ্বাস। যে কোনো ভয়ভীতি প্রলোভন, প্রবঞ্চনা এবং সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে উঠে নিঃসংকোচে আপনাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন। আপনাদের নিরাপদ ও উৎসবমুখর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী কাজ করবে। ধর্ম, গোত্র, গোষ্ঠী, লিঙ্গ নির্বিশেষে সবাই এই আনন্দ আয়োজনে অংশ নিন। পরিবারের প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও সন্তানসম্ভাবা মাসহ সবাইকে নিয়ে ভোট দিতে আসুন। আমি আশা করি আপনাদের স্বঃতস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভোটের অনুষ্ঠান উৎসবে রূপ নেবে।

সিইসি আরও বলেন, গত এক বছরে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবার জবাবদিহিতা বাড়াতে আমরা বহুবিধ আইনি ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পন্ন করেছি। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণবিধিতে যথাযথ পরিবর্তন সংশোধন ও পরিমার্জন করা হয়েছে। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের বিভিন্ন সুপারিশের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব মূল্যায়ন ও অংশীজনের পরামর্শের ভিত্তিতে এসব সংস্কার করা হয়েছে। এই উদ্যোগ সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতার জন্য আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনসহ সব অংশীজনদের ধন্যবাদ জানাই। আমার স্যার প্রিয় দেশবাসী, বিভিন্ন কারণে এবারের নির্বাচন আমাদের জাতির ইতিহাসে অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত প্রকৃত গণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি কাঙ্ক্ষিত সংস্কার প্রশ্নে সিদ্ধান্তের নির্বাচন এটি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে যা একটি নতুন অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয়ত সংশ্লিষ্ট সব রাষ্ট্রীয় গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এই নির্বাচন হচ্ছে সক্ষমতা প্রমাণ করার ও ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের অনন্য সুযোগ। তৃতীয়ত দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের পর দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলসমূহের মাঝে সৌহাদ্যপূর্ণ গণতান্ত্রিক প্রতিযোগিতার ধারা প্রবর্তনের দাবি রাখে এই নির্বাচন। চতুর্থত প্রায় অকার্যকর পোস্টাল ভোট ব্যবস্থাকে পরিমার্জন করে এই নির্বাচনে একটি কার্যকরী রূপ দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশের অন্যতম চালিকাশক্তি আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধা- এমনটি উল্লেখ করে সিইসি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আনা হচ্ছে। একইভাবে প্রথমবারের মতো ভোটের আওতায় আসছেন আইনি হেফাজতে থাকা ভোটাররা। এছাড়াও নিজ নির্বাচনি এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি কর্মচারী এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে এবার ভোট দেবেন।

পোস্টাল ভোটিং প্রসঙ্গে সিইসি আরও বলেন, প্রবাসে বসবাসরত প্রিয় ভোটাররা প্রবাস থেকে ভোটদানের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম ১৮ নভেম্বর থেকে চলমান আছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপের মাধ্যমে পৃথিবীর যে কোনো স্থান থেকে ভোট দেওয়ার জন্য আপনারা নিবন্ধন করতে পারবেন। আপনারা এই সুযোগ নিয়ে ভোটে অংশ নিন। দেশ গঠনে আপনাদের অধিকার বুঝে নিন। প্রবাসী ভোটার ছাড়াও দেশের ভেতরের তিন ধরনের ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। যা এরইমধ্যে উল্লেখ করেছি। প্রবাসী ভোটারদের পাশাপাশি এই তিন ধরনের ভোটাররা আগামীকাল থেকে শুরু করে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোস্টাল ভোট বিডি অ্যাপ এর মাধ্যমে এবং নির্ধারিত পদ্ধতিতে পোস্টাল ভোটের জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

এমওএস/এএমএ