ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাংলাদেশের শ্রম সংস্কারের প্রশংসায় আইএলও মহাপরিচালক

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৬:৪৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

শ্রম খাতে ব্যাপক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর মাধ্যমে পাঠানো এক চিঠিতে সংস্থাটির মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হংবো এই প্রশংসা করেন। চিঠিতে শ্রম সংস্কারের অগ্রগতির ‘স্পষ্ট রূপরেখা’র জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

চিঠিতে আইএলও মহাপরিচালক বলেন, ‘শ্রম খাতে ব্যাপক সংস্কার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা জানাতে চাই।’ বিশেষ করে ২০২৫ সালের বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) অধ্যাদেশে অন্তর্ভুক্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলোর কথা উল্লেখ করে তিনি এসব উদ্যোগকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে অভিহিত করেন।

গত ২১ নভেম্বর বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর পাঠানো এক হালনাগাদ প্রতিবেদনের পর আইএলও মহাপরিচালকের এই প্রশংসা এলো। ওই প্রতিবেদনে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় গৃহীত নানা উদ্যোগ—সংগঠন করার স্বাধীনতা, সমষ্টিগত দরকষাকষি, সামাজিক সংলাপ এবং কর্মপরিবেশ উন্নয়নের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়।

সেখানে উল্লেখ করা হয়, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুস্পষ্ট নির্দেশনায় শ্রম সংস্কারের গতি, প্রক্রিয়া ও অগ্রগতিকে অতীতের গড়িমসি থেকে স্পষ্টভাবে বিচ্ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি সংক্রান্ত অতিরিক্ত আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুসমর্থন বাংলাদেশের জন্য ‘আরেকটি ঐতিহাসিক মাইলফলক’। এসব কনভেনশনের অনুসমর্থন দলিল ২০ নভেম্বর জেনেভায় শ্রম উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন জমা দেন।

বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী তার চিঠির উপসংহারে বলেন, ‘সমষ্টিগতভাবে এসব পদক্ষেপ দেশের শ্রম মানদণ্ডকে স্থায়ীভাবে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যাবে।’

একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় শুধু চূড়ান্ত ফলাফল নয় বরং পুরো যাত্রাপথে প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়াগুলোর গুরুত্বও সমানভাবে বিবেচ্য।

আইএলও মহাপরিচালক তার চিঠির শেষাংশে সরকার, শ্রমিক ও নিয়োগকর্তা সংগঠনগুলোকে কারিগরি সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে সহযোগিতা করার সুযোগ দেওয়ায় আইএলও’র প্রতি আস্থা রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এমইউ/বিএ/এএসএম