ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টার শোক

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৪৩ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে খন্দকারের (বীর উত্তম) মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক)।

শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় উপদেষ্টা বলেন, মরহুম এয়ার ভাইস মার্শাল আব্দুল করিম খন্দকার (এ কে খন্দকার) ১৯৭১ সালে ঢাকার পাকিস্তান বিমানবাহিনী ঘাঁটিতে সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। স্বাধীনতাযুদ্ধ আরম্ভ হলে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য ১৯৭১ সালের ১২ মে ঢাকা থেকে ত্রিপুরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন এবং ১৫ মে ত্রিপুরায় পৌঁছান। তৎকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) তাকে মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ পদে নিযুক্ত করেন। তার নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালের নভেম্বরে বিমানবাহিনীর ঐতিহাসিক কিলোফ্লাইটের অপারেশনগুলো পরিচালিত হয়েছিল। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার জন্য তিনি ১৯৭২ সালে বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।

আরও পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধের উপ-সেনাপতি এ কে খন্দকার বীর উত্তম মারা গেছেন

এ কে খন্দকার ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা ও পরে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।

মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় মুক্তি বাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে তার অসামান্য অবদান, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে একটি সুসংগঠিত ও কার্যকরী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা এবং সর্বোপরি স্বাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে দেশ গঠনে অক্লান্ত পরিশ্রম ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১১ সালে তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর প্রথম প্রধান এই বীর মুক্তিযোদ্ধা অত্যন্ত সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছেন। ক্ষণজন্মা এই সাবেক বিমানবাহিনী প্রধানের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তার নামে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘাঁটির নামকরণ করা হয়েছে।

‘তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। তার কর্ম, চিন্তা ও আদর্শ নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।’

শোকবার্তায় উপদেষ্টা আরও বলেন, আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

আব্দুল করিম খন্দকার শনিবার সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর ১১ মাস ২০ দিন। তিনি ২ ছেলে ১ মেয়ে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

আরএমএম/ইএ