হাদির হত্যাকারী দেশের বাইরে চলে গেছে, এমন তথ্য নেই: পুলিশ
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার রফিকুল ইসলাম/ছবি: জাগো নিউজ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ দেশের বাইরে চলে গেছেন কি না এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। অনেক সময় অপরাধীদের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ‘পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে’ এ কথা বলেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
শুটার ফয়সাল করিম সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ফয়সালের শেষ অবস্থান নিয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এটা পেতে আমাদের বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তবে সে যে দেশের বাইরে চলে গেছে, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাইনি। অনেক সময় অপরাধীদের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।
হত্যাকাণ্ডে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি না–এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা এখনো স্পেসিফিক কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পাইনি। তবে আমরা সঠিক তথ্য পেতে চেষ্টা করছি।
ফয়সাল করিম মাসুদের তথ্য সম্পর্কে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, ফয়সাল করিম মাসুদের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। আপনারা (সাংবাদিক) যেমন শুনতেছেন, আমরাও বিভিন্ন তথ্য পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে সবগুলো তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনে হচ্ছে ব্যক্তিগত কোনো শুত্রুতা নয়, রাজনৈতিকভাবে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। ফয়সাল ও আলমগীরকে এখনো গ্রেফতার করতে পারিনি, ফলে সেভাবে এখনো জানা যায়নি।
ডিবিপ্রধান বলেন, ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাদিকে গুলির পর প্রত্যেক ইউনিটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসামি গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১০ জনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, অস্ত্র, গুলি ও পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে।
শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ছবি আপলোড করেছিল, সেটি ভারত থেকে আপলোড করা হয়েছিল বলে জানা গেছে। আপনারা ছবিটি ফরেনসিক করেছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্তাধীন বিষয়। সবগুলো বিষয় গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখেছি হাদির পাশে আসামিরা ছিলেন। তারা কার মাধ্যমে এসেছিলেন। অর্থাৎ মাস্টারমাইন্ড কারা। এসব বিষয় আপনারা তদন্ত করেছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, এটি বড় তদন্তাধীন বিষয়। তদন্ত কওরে দেখা হচ্ছে। মামলা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে।
টিটি/এমএমকে/এমএস