ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

হাদিকে গুলি: ফিলিপকে ধরতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বিজিবি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের ফিলিপ স্নাল। যাকে ধরতে হন্যে হয়ে খুঁজছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারী ফয়সাল ও আলমগীর সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে, না কি দেশেই আছে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে ফিলিপকে ধরলেই। এজন্য ফিলিপকে গ্রেফতারে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বিজিবি।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ‘পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবির যৌথ সংবাদ সম্মেলনে’ এ কথা বলেন ময়মনসিংহ বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সরকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ১৩ ডিসেম্বর তথ্য পাওয়া যায় হাদিকে গুলি করা শুটার ফয়সাল ময়মনসিংহের দিকে এসেছে। তখন সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে প্ল্যান করা হয় হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় একযোগে যৌথ অভিযান চালাবো। এরপর রাতভর অভিযান পরিচালনা করা হয়। মূলত সন্দেহভাজন হিসেবে যার নাম বারবার উঠে এসেছে তিনি হলেন ফিলিপ।

তিনি বলেন, সেই ফিলিপের কল রেকর্ডের সূত্র ধরেই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই রাতে ফিলিপকে পাওয়া যায়নি। এ সময় তার শ্বশুর ও একজন সহযোগীকে আটক করা হয়। এর দুই দিন পরে ফিলিপের আরও দুজন সহযোগীকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। ফিলিপ একজন অন্যতম সন্দেহভাজন। তিনি মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত। ফিলিপকে গ্রেফতার করার লক্ষ্যে সর্বশক্তি নিয়োগ করা হয়েছে, যা এখনো চলমান। বিভিন্ন গোয়েন্দা তৎপরতা ও যত ধরনের টুলস ব্যবহার করা দরকার সব ব্যবহার করা হচ্ছে।

সীমান্তের অতি কাছাকাছি যারা অবস্থান করে তাদের অধিকাংশই চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোস্তাফিজুর বলেন, চোরাচালানের সঙ্গে যারা জড়িত থাকে তারা যখনই সুযোগ পায় তখনই মানবপাচারের সঙ্গেও জড়িত থাকে। স্পেসিফিক কোনো তথ্য না পেলে কাউকে ধরা অনেক কঠিন। ফিলিপ নামের একজনকে গ্রেফতার করার জন্যই কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে আরও দুজনকে আমরা গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি। তারা হলেন জেমি চিসিং ও দিকি রন্দ্রি।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিএমপির ডিবিপ্রধান শফিকুল ইসলাম, র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরীসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

টিটি/এমএমকে/এমএস