ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

উপকূলে চালু হলো ৭ কোস্টাল রেডিও স্টেশন ও ৭ লাইটহাউজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৩৭ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

উপকূলীয় এলাকায় চালু হলো সাতটি কোস্টাল রেডিও স্টেশন এবং সাতটি লাইটহাউজ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এসব উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

একই সঙ্গে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নির্মিত জয়েন্ট মেরিটাইম রেসকিউ কো-অর্ডিনেশন সেন্টারও (জেএমআরসিসি) উদ্বোধন করেন উপদেষ্টা।

নৌপরিবহন অধিদপ্তরের এস্টাবলিশমেন্ট অব গ্লোবাল মেরিটাইম ডিসট্রেস অ্যান্ড সেফটি সিস্টেম অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড মেরিটাইম নেভিগেশন সিস্টেম (ইজিআইএমএনএস) প্রকল্পের আওতায় কোস্টাল রেডিও স্টেশন ও লাইট হাউজগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

কোস্টাল রেডিও স্টেশন ও লাইটহাউজগুলো কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুতুবদিয়া, চর কুকরি-মুকরি, নিঝুম দ্বীপ, দুবলার চর এবং কুয়াকাটায় স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ও কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) যৌথ অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইজিআইএমএনএস প্রকল্পের আওতায় গড়ে ওঠা অবকাঠামো বাংলাদেশের সমুদ্রপথে নিরাপদ নৌচলাচল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক কনভেনশন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উপকূলে চালু হলো ৭ কোস্টাল রেডিও স্টেশন ও ৭ লাইটহাউজ

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, ‘ইজিআইএমএনএস প্রকল্পটি বাংলাদেশের নৌ-নিরাপত্তা বৃদ্ধি এবং উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগগ্রস্ত যে কোনো জাহাজ ও নাবিকদের উদ্ধার সহায়তায় একটি যুগান্তকারী মাইলফলক। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন আধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সামুদ্রিক উদ্ধার সক্ষমতা অর্জন করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ-সংস্থার (আইএমও) সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ কনভেনশনের বাধ্যবাধকতা পূরণের সক্ষমতা অর্জন করেছে, যা আন্তর্জাতিক নৌ-বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবে।’

অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নূরুন্নাহার চৌধুরী বলেন, ইজিআইএমএনএস প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এখন বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলে বিপদগ্রস্ত যে কোনো জাহাজ ও নাবিককে তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত ও উদ্ধার করা সম্ভব হবে, যা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় মেরিটাইম সাফল্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মো. শফিউল বারী, প্রকল্প পরিচালক শিপ সার্ভেয়ার অ্যান্ড এক্সামিনার মো. আবুল বাসারসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোরিয়ান সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়া দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন, কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের বাংলাদেশের প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/বিএ/এমএস