শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ছাত্র-জনতার এক সমাবেশে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র আসাদুজ্জামান। ৪৬ তম শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
 
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এক বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ আসাদের নাম অমর হয়ে আছে। ১৯৬৯ সনের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে সমাবেশে পুলিশের গুলিতে নিহত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদ। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনকালে শহীদ আসাদের আত্মত্যাগ বিফলে যায়নি।

তিনি আরো বলেন, স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সেদিন জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে এসেছিল। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মহান মু্ক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে শহীদ আসাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং দেশের গণতন্ত্র প্রিয় জনগণকে অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে শহীদ আসাদ দিবস তাৎপর্যপূর্ণ। কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে গর্জে ওঠে সারাবাংলার মানুষ। ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ চত্বরে ছাত্র-জনতার এক সমাবেশে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র আসাদুজ্জামান।

শেখ হাসিনা বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারী হিসেবে আবির্ভীত হয়। ছয়-দফার সপক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত সামরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে যা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা নামে সমধিক পরিচিত। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির মূর্ত প্রতীকে পরিণত হন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, শহীদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনকে বেগবান করে। পরবর্তীকালে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের।

প্রধানমন্ত্রী শহীদ আসাদসহ আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। -বাসস

আরএস