নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কার্যকর আন্দোলন
নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সারা দেশে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে ভোক্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন বিশ্ব ভোক্তা দিবসে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে বক্তরা। রোববার বাংলাদেশ ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এর আগে বিশ্বভোক্তা এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রিয় কার্যলয় পুরানা পল্টন সোলেমান প্লাজা থেকে রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় র্যালিটি শুরু করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
প্রেসক্লাবের সমাবেশে সংস্থার চেয়ারম্যান লায়ন নুর ইসলাম বলেন, মাত্র ক’বছর আগে এ দেশের মানুষ ফরমালিন কার্বাইড সম্পর্কে জানতো না। বিষাক্ত এ সকল কেমিক্যালযুক্ত খাবার খেয়ে মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভয়াবহ এ অভিসাপ থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে সামাজিক আন্দোলন শুরু করে বাংলাদেশ ক্রেতাভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ফাউন্ডেশন। আন্দোলনের জনগুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় নিয়ে সরকার সংসদে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ পাশ করেছে। গোটা জাতি এর সুফল ভোগ করছে।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা যায়নি। সারাদেশে জোরদার সামাজিক আন্দোলন করে গণসচেতনতা সৃষ্টি করে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
সমাবেশে অন্যান্য বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত এ আন্দোলনকে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে যুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এফ জন এফ কেনেডি ১৯৬৬ সালে যে আন্দোলনের সূচনা করেন আজ তা ভৌগলিক সীমা পেরিয়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশে পালিত হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, এটা শুধু পালনের বিষয় নয়। এ আন্দোলনকে অবশ্যই একটা উচ্চ মাত্রায় নিয়ে যেতে হবে। মানুষের জন্য সুন্দর বাসযোগ্য সমাজ বিনির্মানই এ আন্দোলনের লক্ষ্য।
উল্লেখ্য, ১৫ মার্চ বিশ্বভোক্তা অধিকার দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের ১২২টি দেশের সাথে বাংলাদেশে এ দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। বিশ্বভোক্তা অধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার”। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি পালন করে থাকে।
আরএস/পিআর