ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

শনিবার কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর!

প্রকাশিত: ০৩:১২ এএম, ১০ এপ্রিল ২০১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামান বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি। এ ব্যাপারে তিনি আরও সময় চান বলে তার আইনজীবীদের মাধ্যমে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। ফলে বৃহস্পতিবারও তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি। তবে কারা কর্তৃপক্ষের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানিয়েছে, শনিবারই কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হতে পারে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, `বৃহস্পতিবারের মধ্যেই কামারুজ্জামানকে প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। কিছুক্ষণের মধ্যে মতামত জানতে ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে যাবেন।` তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কারাগারে যাননি।

সোমবার কামারুজ্জামানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। বুধবার সন্ধ্যায় রায়ের কপি কারাগারে পৌঁছার পর কামারুজ্জামানকে রায় পড়ে শোনানো হয়। এরপর নিজের আইনজীবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রাণভিক্ষার চাওয়া-না-চাওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তিনি। গতকাল অ্যাডভোকেট শিশির মনিরের নেতৃত্বে পাঁচ আইনজীবী কামারুজ্জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ ব্যাপারে অ্যাডভোকেট শিশির মনির বলেন, `যৌক্তিক সময়ের মধ্যেই কামারুজ্জামান তার সিদ্ধান্ত জানাবেন। ভাবনা-চিন্তার জন্য একদিন, দু`দিন, তিন দিনও সময় নিতে পারবেন তিনি। যতক্ষণ পর্যন্ত কামারুজ্জামান তার সিদ্ধান্ত জানাবেন না, ততক্ষণ এ রায় কার্যকর করা অনুচিত। আইনগতভাবেও এ রায় কার্যকর করা ঠিক হবে না।`

রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, কারাবিধি অনুযায়ী প্রাণভিক্ষা চাওয়ার ব্যাপারে সাত দিনের কথা বলা থাকলেও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনে তা প্রযোজ্য নয়। এ আইনে রায় হওয়ার পর তা কখন কার্যকর হবে সেটা পুরোপুরি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়। এখানে কারা-আইন প্রযোজ্য হবে না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিচারপতিদের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করেই কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর করবে সরকার। আইনের বাইরে কিছু করা হবে না। প্রাণভিক্ষা না চাইলে যথাযথভাবেই সকল প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।

প্রাণভিক্ষার ব্যাপারে ভাবনার জন্য কামারুজ্জামানকে কত সময় দেওয়া হবে, এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, `তিনি ভেবেচিন্তে বলুন আর যেভাবে বলুন; আমরা তার সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি। তিনি যদি ক্ষমাভিক্ষা না চান, তাহলে আইন অনুযায়ী করণীয় যা তা-ই করব। রায় কার্যকরে কোনো বিলম্ব হচ্ছে না। যথাযথভাবেই এ প্রক্রিয়া শেষ হবে।

এআরএস/বিএ/এমএস