ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অথৈ জলে ভাসছে বাংলাদেশিদের স্বপ্ন

প্রকাশিত: ০৪:৪৭ এএম, ১২ মে ২০১৫

জীবিকার তাগিদে স্বজনদের ফেলে জীবনবাজি রেখে কত লোক সাগর পাড়ি দিতে নৌকায় চড়েছে? তাদের মধ্যে পথেই মারা গেছে কতজন? এসব প্রশ্ন এখন ঘুরেফিরে আসছে। থাইল্যান্ডের পর ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ার উপকূলে উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের হতভাগ্য হাজার হাজার মানুষ।

জানা গেছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের প্রায় আট হাজার অভিবাসী বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড উপকূলের কাছে সাগরে অপেক্ষা করছে। থাই নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযানের কারণে পাচারকারীরা নৌকাগুলো তীরে ভেড়াতে চাইছে না।

গহীন অরণ্যে গোপন শিবিরে না এনে পাচারকারীরা এখন অভিবাসীদের সাগরের বুকে রাখছে। এর মধ্যে সেন্টমার্টিনের অদূরে সাগরে ভাসছে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়াগামী শতাধিক অভিবাসী বোঝাই ট্রলার। থাইল্যান্ডে মানব পাচার রোধে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকায় ট্রলারগুলো সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে কিছু দূরে অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘের অভিবাসনবিষয়ক সংস্থা আইওএম বলছে, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কয়েক হাজার লোক থাইল্যান্ড উপকূলের কাছে সাগরে অপেক্ষায় রয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, থাইল্যান্ডে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলায় ট্রলারগুলো ফিরে আসে। এমন অনেক ট্রলার এখন সাগরে ভাসছে বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা (আইওএম) ও সাগরে আটকে পড়া যাত্রীদের বরাত দিয়ে বিবিসি এমন তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি থাইল্যান্ডের গহীন অরণ্যে অভিবাসীদের গণকবর আবিষ্কারের পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সমুদ্রপথে ঝুঁকিপূর্ণ মানব পাচার নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়। একের পর এক অভিযানে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় অভিবাসীরা উদ্ধার হচ্ছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে থাইল্যান্ডের গভীর জঙ্গলে গণকবরের সন্ধান লাভ ও শত শত বাংলাদেশি উদ্ধারের ঘটনায় উখিয়া-টেকনাফের শতাধিক পরিবারে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য মতে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া বা ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছে কিংবা লাশ হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ এসব যাত্রায় এ বছরের প্রথম তিন মাসে ৩০০ ব্যক্তি মারা গেছেন। ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে মারা গেছেন মোট ৬২০ জন। এদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয়েছে ক্ষুধা-তৃষ্ণা আর নির্যাতনে। অনেকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার কথাও বলেছেন।

এছাড়া আরাকান প্রজেক্ট নামের একটি সংস্থার হিসেবে ২০১৪ সালেই সমুদ্রপথে বাংলাদেশের উপকূল থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।

এএইচ/এআরএস/এমএস