ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ইসির ব্যর্থতার দায় কর্মকর্তাদের ওপর!

প্রকাশিত: ০৬:৩৭ এএম, ১৬ মে ২০১৫

সদ্যসমাপ্ত তিন সিটি নির্বাচনের অনিয়ম ও ব্যর্থতার দায় কর্মকর্তাদের ওপর চাপাতে চাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে গোপন পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভোটের দিন তাৎক্ষণিক নানা অনিয়মের কথা জানালেও আমলে নেয়নি কমিশন। কিন্তু ভোট-পরবর্তী সময়ে সেই কর্মকর্তাদের ওপর নানা দোষ চাপাচ্ছেন খোদ নির্বাচন কমিশনাররা।

অন্যদিকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার অভিযোগে কর্মকর্তাদের বদলির হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি নির্বাচন শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলির কথাও শোনা যাচ্ছে।

একইভাবে ইসি সচিবালয়, ঢাকা জেলা ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি করারও প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইসি কর্মকর্তারা মনে করছেন- সিটি নির্বাচনে বর্তমান কমিশনের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে গেছে। এ নিয়ে অনেকটাই বিপাকে পড়েছেন কমিশনাররা। তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন।

এ ছাড়া মিডিয়াকে সহযোগিতা করার অভিযোগ তুলে একজন সিনিয়র সহকারী সচিবকে কর্মহীন করে রাখা হয়েছে। এমনকি তার বসার জন্য কোনো রুম পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না। ইসি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণের দিন কর্মকর্তাদের ধারণ করা কেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ খোয়া গেছে।

কেন্দ্রে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এই ফুটেজ ছিনতাই করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন কমিশন ফুটেজ ছিনতাইয়ের দায় কর্মকর্তাদের ওপর চাপাচ্ছেন। কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হলেও ইসি এখন লিখিত অভিযোগও নিচ্ছে না। জানা গেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য স্থাপন করা কয়েকটি ওয়েব ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওয়েব ক্যামেরা বসানো ৫৩টি কেন্দ্রের ৫টির ল্যাপটপ পুলিশের সহায়তায় ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ছিনিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে অনেক ল্যাপটপের। এ ছাড়া অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রের দৃশ্য ধারণে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রত্যেক নির্বাচনের পর কমিশনের কর্মকর্তাদের ওপর দিয়ে নানা ধরনের ঝড়-ঝাপটা যায়। কমিশন নিজেদের দায় এড়াতে কর্মকর্তাদের ওপর অনিয়মের দায় চাপায়। এতে কর্মকর্তারা অনেকটাই হতাশ হয়ে পড়েন। এতে ইসির ‘চেইন অব কমান্ড’ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এআরএস/আরআই