ইন্দোনেশিয়ায় উদ্ধার আরো ২০০ : বেশির ভাগই বাংলাদেশি
ইন্দোনেশিয়া থেকে আরো দুইশো অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে দেশটির নৌবাহিনী। আচেহ প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল থেকে নতুন করে এ অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়। অভিবাসীদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাকিরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা। বর্তমানের তাদের ইন্দোনেশিয়ার লাংসা শহরে জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার সকালে তাদের উদ্ধার করা হয় বলে এবিসি, ফুকেট ওয়ানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। খবর রয়টার্স।
ইন্দোনেশিয়ার সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল ফুয়াদ বাসাইয়া জানান, সাগরে মাছ ধরার এলাকায় সাঁতার কাটতে দেখে জাহাজ পাঠিয়ে ওই অভিবাসীদের উদ্ধার করা হয়। এর আগে ওই উপকূলীয় এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় ৮৯৪ জন অভিবাসীকে।
এদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাগরে হাজার হাজার রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশির কঠিন পরিস্থিতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এমন উদ্বেগের কথা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেফ রাতকে। সাগরে আটকে পড়া অভিবাসীদের জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ সরবরাহ করতেও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যথার্থ উপায়ে ও আঞ্চলিক সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ সংকট নিরসন প্রয়োজন বলেও জানান মুখপাত্র।
জেফ আরো জানান, অভিবাসীদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা করতে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিও। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মতে, গত তিন বছরে এক লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা নৌযানে চড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের উপকূল থেকে বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকাডুবির ঘটনায় ৭১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। প্রদেশের লাংশা শহরের উপকূল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। এছাড়া গত সপ্তাহে ১৪শ`র বেশি অভিবাসী ইন্দোনেশিয়ায় আশ্রয় নেন। এক হাজার ১০০ জন যান মালয়েশিয়ায়।
বিএ/এমএস