ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

অনলাইনে মিলবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৩০৩ সেবা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৫৩ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

এখন থেকে অনলাইনে পাওয়া যাবে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩০৩টি সেবা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় ‘মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে এসব সেবা অনলাইনের আওতায় আনা হয়েছে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সেবাসমূহ উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের ৭৩টি লাইব্রেরি, ৩০০ কোটির অধিক টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় আর্কাইভ ডিজিটাইজ এবং আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাতিঘর বাংলা একাডেমিকে ডিজিটাইজ করার বিষয়ে আইসিটি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মধ্যে অন্যতম উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বিগত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলার কারণে করোনা মহামারির সময়েও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও করোনাকালীন ১৯ মাসে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রশাসনিক কার্যক্রম ও বিচারক ব্যবস্থাসহ সবকিছু সচল ছিল।

jagonews24

তিনি বলেন, ২০১৬ সালে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ই-নথি ব্যবস্থা প্রবর্তন করায় দুই কোটির বেশি ফাইল ই-নথি সিস্টেম ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনাকালীন বিভিন্ন অফিসের লক্ষাধিক কর্মকর্তা ইলেকট্রনিক ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেছে।

‘এর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা সাশ্রয়ের পাশাপাশি সময় ও যাতায়াতের হয়রানি থেকে রক্ষা মিলেছে এবং লকডাউনেও কোনো প্রশাসনিক কাজ বন্ধ ছিল না’- বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, মাইগভ র্যাপিড ডিজিটাইজেশন প্ল্যাটফর্মের আওতায় এরইমধ্যে যেসব মন্ত্রণালয়/বিভাগের ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে, এর মধ্যে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩০৩টি সেবার ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্র ও কর্মপরিধি কত ব্যাপক।

jagonews24

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১৭টি দপ্তর-সংস্থার মধ্যে ১০টি দপ্তর-সংস্থার ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭টি সংস্থার র্যাপিড ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইজেশন করা সেবার সংখ্যা আরও অনেক বাড়বে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ ও নির্দেশনায় প্রতিটি ঘরে ঘরে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পৌঁছে গেছে। বাতাস থেকে ফ্রি অক্সিজেন গ্রহণের মূল্য আমরা যেমন বুঝি না, একইভাবে অনেকেই এরইমধ্যে বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারছেন না।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম, চিফ ইনোভেশন অফিসার (অতিরিক্ত সচিব) অসীম কুমার দে ও এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরএমএম/এমকেআর/এএসএম