ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

৭৭-এ সেনা বিদ্রোহের ঘটনা উন্মোচন চায় স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২১

১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সেনা বিদ্রোহের নামে যে অফিসার ও সৈনিকদের হত্যা করা হয়েছিল, সেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উন্মোচন ও নিহতদের মরদেহ কোথায় কবরস্থ হয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন নিহতদের স্বজনরা।

বুধবার (৩ নভেম্বর) জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল শ্রদ্ধা জানাতে এলে সেনা বিদ্রোহে নিহতদের পরিবারের স্বজনরা এ দাবি জানান।

এদিন শ্রদ্ধা জানানো শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার আগে সেনা বিদ্রোহে নিহতদের পরিবারের সদস্যরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। এসময় নিহতদের হত্যার সঠিক ঘটনা উন্মোচন ও তাদের মরদেহ কোথায় কবরস্থ হয়েছিল, সে সম্পর্কে জানতে চান স্বজনরা। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে তাদের কথা শোনেন এবং পরে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।

সেনা বিদ্রোহের বিষয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সেনা বিদ্রোহের নামে শত শত লোককে হত্যা করেছে। ৩ নভেম্বরের জেল হত্যার মতো সেটিও একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। ওই ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এখনো আহাজারি করছেন। তারা জানতে চায়, কেন সেদিন তাদের বাবা কিংবা স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল। তারা জানতে চায়, কীভাবে সেদিন তাদের বাবা বা স্বামীকে হত্যা করা হয়েছিল। তারা আরও জানতে চায়, হত্যার পর তাদের বাবা বা স্বামীকে সেদিন কোথায় কবরস্থ করা হয়েছিল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে একটি রিট আবেদন হয়েছে হাইকোর্টে। আমরা রিট আবেদনের রায়ের অপেক্ষা করছি। আমরা চাই, দোষী ব্যক্তিদের যেন বিচার হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাইলে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার সামরিক আদালতে করতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার প্রচলিত বিচারব্যবস্থায় হয়েছে এবং তাদের ফাঁসি হয়েছে। পিলখানা হত্যার বিচার হয়েছে এবং আপিলে সেটি এখন উচ্চ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু ১৯৭৭ সালে সেনা বিদ্রোহের নামে যাদের হত্যা করা হয়েছিল, সেই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো কোনো কিছু হয়নি। কোথায় তাদের দাফন করা হয়েছিল, তা এখনো কেউ জানে না। হত্যার পর তাদের মরদেহগুলো পরিবারের কাছে দেওয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যরা আপিল করেছে মহামান্য আদালতে। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে আদালত একটি সুষ্ঠু দিক নির্দেশনা দেবেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ, মেয়ে সিমিন হোসেন রিমি, শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে রেজাউল করিম, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনসহ আরও অনেকে।

আরএসএম/এমকেআর/জেআইএম