ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

প্রতি উপজেলায় সরকারি স্কুল ও কলেজ হবে

প্রকাশিত: ০৯:২৩ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৬

দেশের প্রতি উপজেলায় সরকারি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পঁচাত্তর বছরপূর্তি উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের যেসব উপজেলায় সরকারি স্কুল-কলেজ নেই, সেসব উপজেলায় একটি করে সরকারি স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশের প্রতিটি শিশু যাতে নিজের এলাকায় উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পায় সে ব্যাপারে সরকার কাজ করছে।

তিনি বলেন, আমাদের সরকার সব সময় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর পরই দেশের শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি শিক্ষা ছাড়া দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব নয়। প্রতিযোগিতাময় বিশ্ব বাজারে টিকে থাকা সম্ভব নয়।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে শিক্ষাকে পিছিয়ে দেয়। শিক্ষার ক্ষেত্রে ওই সময় দেশ অনেক পিছিয়ে যায়। ২০০৮ সালে আবার আমরা ক্ষমতায় এসে শিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছি। বর্তমানে দেশে শিক্ষার হার ৭১ ভাগ রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, আশা করি আমরা শতভাগ শিক্ষার হার অর্জন করতে পারবো।

শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অল্প অল্প টাকা জমিয়ে দরিদ্র মানুষের উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করার নজির আছে। তাই সমাজে যারা বিত্তবান আছেন তারা এগিয়ে আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আরো উন্নত হবে।

আগামীতে সিলেটে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। তিনি বলেন, উচ্চ শিক্ষাকে আমাদের সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। যুপোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা ও কারিগরী শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। অদূর ভবিষ্যতে দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেয়ার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।
    
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।


ছামির মাহমুদ/এসএস/পিআর