জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে কনসার্ট : বিপাকে শিক্ষার্থীরা!
রাজধানীর জাতীয় যাদুঘর ও জাতীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিশ্ব ভালবাসা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কনসার্টের কারণে বিপাকে পড়েছেন গ্রন্থাগারে আগত শিক্ষার্থীরা। গ্রন্থাগারটি বন্ধ না রেখে কনসার্টের আয়োজন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সেখানে যাতায়াতকারী নিয়মিত শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত কনসার্টের কারণে গ্রন্থাগারটিতে প্রবেশে বিড়ম্বনার মুখে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। বেলা ১১টার আগে গ্রন্থাগারটিতে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারলেও দুপুরের পর থেকে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়।
মূল মঞ্চটি জাতীয় যাদুঘর ও জাতীয় গ্রন্থাহারের সামনে থাকায় নিরাপত্তার কারণে প্রতিটি প্রবেশ পথ বন্ধ রেখে স্টেজের পেছনে একটি পথ খোলা রাখা হয়।
দেখা গেছে, একটি মাত্র গেট দিয়ে আয়োজক ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা ভেতরে প্রবেশ করলেও শিক্ষার্থীদের ভেতরে প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে। ফলে দুপুরের পর থেকে গ্রন্থাগারে আগত শিক্ষার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
একটি মাত্র গেট দিয়ে লাইব্রেরিতে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদেরকে গেটটি দিয়ে গ্রন্থাগারে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। 
ক্ষোভ প্রকাশ করে মনোয়ার হোসেন নামে একজন শিক্ষার্থী বলেন, বিদেশি সংস্কৃতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আনন্দ উল্লাস করা যেতে পারে। তবে গ্রন্থাগারের সামনে এরকম অনুষ্ঠান অনাকাঙ্ক্ষিত।
সুফিয়ান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, চাকরির জন্য নিরিবিলি পরিবেশে পড়ালেখা করতে জাতীয় গ্রন্থাগারে আসি। তবে আজ যেহেতু অনেক বড় অনুষ্ঠান! গ্রন্থাগারটি একদিন বন্ধ রাখা যেতো!
একটি মাত্র প্রবেশপথে দায়িত্বরত দারোয়ান ফজলুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর স্যাররা ছাড়া কেউ এ পথ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না। গ্রন্থাগারে যেতে চাইলেও এ পথ দিয়ে যাওয়া যাবে না।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয় দিলে এ পথে গ্রন্থাগারে যেতে পারবেন।
জাতীয় গ্রন্থাগারের মূল গেটে দায়িত্বরত দারোয়ান আবদুল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, গ্রন্থাগারের সামনে এত বড় অনুষ্ঠান অথচ আজ গ্রন্থাগারটি বন্ধ রাখা হয়নি। শিক্ষার্থীরা ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে প্রিন্সিপাল লাইব্রেরিয়ান কাম উপ-পরিচালক মো. শওকত আলীর সঙ্গে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি নামাজ পড়া, দুপুরের খাবার ও ওয়াশ রুমের কথা বলে ৪০ মিনিট সময় পার করে শেষ পর্যন্ত কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
এমএম/এসএইচএস/এমএস