ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

কিশোরগঞ্জ

নূর মোহাম্মদকে ‘দুর্ঘটনার এমপি’ বললেন জেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ নেতা

জেলা প্রতিনিধি | কিশোরগঞ্জ | প্রকাশিত: ১১:৩১ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদকে ‘দুর্ঘটনার এমপি’ বললেন জেলা যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মীর আমিনুল ইসলাম সোহেল।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাকুন্দিয়া উপজেলা পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের কুমড়ি সেতু সংলগ্ন মাঠে উপজেলা যুবলীগের কর্মী সমাবেশ এমন মন্তব্য করেন তিনি।

নূর মোহাম্মদকে ঈঙ্গিত করে আমিনুল ইসলাম সোহেল বলেন, দুর্ঘটনাবশত বাংলাদেশে অনেক ঘটনা ঘটে। আপনি আসলে দুর্ঘটনাক্রমেই সংসদ সদস্য হয়েছেন। আপনি দুর্ঘটনাক্রমে নমিনেশন পাওয়া এমপি।

তিনি আরও বলেন, আপনি সোহাগসহ আরও অনেকের বাসাবাড়ি ভাঙলেন। আপনার ভেতরে আওয়ামী লীগ নেই। আপনার অন্তরে মুজিবপ্রেম নেই। উনার মুখে নৌকা অন্তরে কী? উনি আওয়ামী লীগ কর্মীদের পেটাতে ভালোবাসেন। গত দুই-তিন বছরে এই পাকুন্দিয়ায় বিএনপি-জামায়াতের তাণ্ডব শুরু হয়েছে। তারা নতুন করে মানুষ পোড়ায়, মানুষ হত্যা করে।

jagonews24

‘বিএনপির নেতাকর্মীরা তার এলাকায় নিরাপদ। যেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হাত তুলতে সাহস পায় না, সেখানে আপনার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে। নির্যাতনের শিকার হয়েছে পাকুন্দিয়া উপজেলা যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। এই আপনার আওয়ামী লীগ?’

আমিনুল ইসলাম সোহেল আরও বলেন, কটিয়াদী উপজেলা যুবলীগের সদস্য মাহবুবকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। কটিয়াদী-পাকুন্দিয়ার অনেকেই তার জানাজায় আসলো। আপনি ওই এলাকার সংসদ সদস্য, কিন্তু মাহবুবের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে আপনি আসলেন না। বরং আমি যা খবর পেলাম তা হলো, হত্যাকারী যারা আছে তাদের আপনার বাড়িতে দেখা যায়। এই আপনার আওয়ামী লীগ? প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব খবর রাখেন।

জেলা যুবলীগের এ জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ফজলুল করিম সেলিমের বক্তব্য আপনারা শুনেছেন। পত্র-পত্রিকায় আসে যে, অনেক জায়গাতেই পরিবর্তন আসবে। পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর মানুষও পরিবর্তন চায়। তারা প্রকাশ্যে জেলা যুবলীগে পরিবর্তন দেখতে চায়। আমার যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করবেন, রক্তাক্ত করবেন, মেরে রাস্তায় ফেলে রাখবেন, আর আমরা আপনার জন্য হাততালি দেবো? সম্ভব না, সম্ভব না, সম্ভব না। অতএব নো মোর নূর মোহাম্মদ, নো মোর নূর মোহাম্মদ, নো মোর নূর মোহাম্মদ।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম বকুল তার বক্তব্যে বলেন, পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীতে অনেক রক্ত ঝরেছে। কারা ঝারাচ্ছে? আমরাই। যিনি এমপি হয়েছেন তিনি তো আছেনই, আর যারা ঝরাচ্ছেন তাদের কাছে আমি প্রশ্ন রাখতে চাই- আপনারা কাদের রক্ত ঝরাচ্ছেন? ভাইয়ের রক্ত ভাইয়ে ঝরাচ্ছেন। বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান বার বার একটি কথাই বলতেন, কোকিল বসন্তকালে ডাকে। বসন্ত শেষ হলে কোকিল আর ডাকে না। আপনারা কি সেই বসন্তের কোকিল?

‘যারা আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত ঝরাচ্ছেন। ভাইয়ের রক্ত ভাই ঝরাচ্ছেন তাহলে কি আপনারা উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। আজকের সভা থেকে আপনাদের কাছে স্পষ্টভাবে বলে যায়, এই হানাহানি মারামারি রক্তারক্তি আপনারা বন্ধ করুন। না হয় পাকুন্দিয়া-কটিয়াদীর যুবলীগ কীভাবে তা বন্ধ করতে হয় জানে।’

কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন পাকুন্দিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব উদ্দিন। উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক একরাম হোসেন টিপুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাহবুবুর রহমান, শামসুদোহা (দোহা), যুগ্ম আহ্বায়ক ভিপি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ। উপজেলা যুবলীগের এ কর্মী সমাবেশে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।

এসকে রাসেল/এসএএইচ