জন্মসনদ পেলেন যুদ্ধ শিশু মনোয়ারা
বাংলাদেশের জন্মসনদ পেলেন কানাডার নাগরিক ও যুদ্ধ শিশু মনোয়ারা বেগম ক্লার্ক। ১১ ডিসেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন থেকে তাকে এই সনদ প্রদান করা হয়। জন্মসনদ অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ১৯ মে ১৯৭১। জন্ম স্থান ঢাকা হিসেবে উল্লেখ থাকলেও বাবা ও মায়ের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে অফিসার ইনচার্জ, লালবাগ থানা।
১৯৭১, স্বাধীকার আদায়ের সংগ্রামে পুরো বাংলাদেশ। নয় মাসের এই মুক্তি সংগ্রামে ৩০ লাখ শহীদের পাশাপাশি নির্যাতিত হন, ২ লাখ নারীও। এই বীরাঙ্গনাদের গর্ভে জন্ম নেয়া সন্তানকে বিদ্রুপ করেছে সমাজ। বলা হতো, অবাঞ্চিত শিশু, শত্রু কিংবা অবৈধ সন্তান। তবে শিক্ষিত সমাজে কিছুটা মর্যাদা আসে, নাম হয়; যুদ্ধ শিশু। আজ এই নামেই সমাজে পরিচিত তারা।
উন্নত দেশের হৃদয়বান ব্যক্তি অথবা সন্তানহীন দম্পতি দত্তক নেন, অনেক যুদ্ধশিশুকে। এমনই এক শিশু, ক্যানাডার নাগরিক মনোয়ারা বেগম ক্লার্ক। জন্মেছিলেন, পুরান ঢাকার মাদার তেরেসা হোমসে। স্বাধীনতার পর কানাডার একটি শিশু সংগঠন, তাকে নিয়ে যায়, সেখানে। বেড়ে ওঠেন, কানাডার ক্লার্ক দম্পতির কাছে। তবে, তার জন্মদাত্রী কে?
এতটা বছর পর, শেকড়ের সন্ধানে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, বাংলাদেশে এসেছেন মনোয়ারা। বলেন, যখন আমি জানলাম আমি যুদ্ধ শিশু তখন বুঝলাম আমার কোন আত্নপরিচয় নাই। এই জন্মপরিচয় নিয়েই তার একযুগের সংসারে ফাটল ধরেছে। স্বামীকে ছেড়ে আলাদা বাসায় থাকেন তিনি। তাই জন্ম সনদ পেতে মরিয়া হন মনোয়ারা বেগম।