ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ন্যূনতম মজুরি না দিলে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা ট্যানারি শ্রমিকদের

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৩৫ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫

ট্যানারি শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি পরিশোধ না করলে আগামীতে কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন। রোববার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এই ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬ এর নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ২১ নভেম্বর থেকেই এই নিম্নতম মজুরি পাওয়া ট্যানারি শিল্পে কর্মরত সব শ্রমিক-কর্মচারীর আইনগত অধিকার।

কিন্তু নিম্নতম মজুরি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মালিকপক্ষের অনুরোধে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় ও কারখানা পর্যায়ের নেতারা কয়েকবার বৈঠক করে। বৈঠকে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়নের জন্য বারবার অনুরোধ করা হয়।

অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক যে, মালিকপক্ষ তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সরকার ঘোষিত ৫টি গ্রেড এ নির্দেশিত নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে অনীহা সুস্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।

তিনি বলেন, এ বিষয়ে শ্রমিকদের আইনগত প্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়নের স্পষ্ট বক্তব্য হচ্ছে ৫টি গ্রেডে ট্যানারি শ্রমিকদের জন্য সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি বিষয়ে ইউনিয়নের পক্ষে যে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া অসম্ভব। নিম্নতম মজুরি বোর্ডে মজুরির এই পরিমাণ মালিকপক্ষই প্রস্তাব করেছিল আর ইউনিয়ন শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় তার গবেষণাভিত্তিক প্রস্তাবনা ২৫,০০০ টাকার পরিবর্তে ১৮,০০১ টাকায় একমত হয়েছে। তাই গত বছরের ২১ নভেম্বর থেকে এই নিম্নতম মজুরি কার্যকরী করার কথা হলেও জানুয়ারি ২০২৫-এ এসেও মালিকপক্ষের এ ধরনের অনীহা অত্যন্ত দুঃখজনক ও শিল্পের সার্বিক উন্নয়নের অন্তরায়।

তিনি আরও বলেন, মালিকপক্ষের গড়িমসির কারণে ট্যানারি শিল্পের শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য সরকার ঘোষিত নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী আইনগত প্রাপ্য বেতন পেতে অনর্থক বিলম্ব হচ্ছে যা শিল্পের সার্বিক স্থিরতা ও কল্যাণে মোটেও কাম্য নয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকার ও শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতি ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের তিনটি সুপারিশ জানান।

সুপারিশ গুলো হলো

৫টি গ্রেডে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য ঘোষিত নিম্নতম মজুরি গ্রেড অনুযায়ী বাস্তবায়ন করতে হবে। গ্রেড কমানো বা একিভূত করার মতো বেআইনি উদ্যোগের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

নির্দিষ্ট গ্রেডে কাজ করেও যেসব ক্ষেত্রে শ্রমিকরা গ্রেড অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন না সেসব শ্রমিকদের গ্রেড অনুযায়ী বেতন প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে DIFE এর পক্ষ থেকে পরিদর্শন কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

আইন বহির্ভূতভাবে মধ্যস্বত্বভোগীদের মাধ্যমে শ্রমিকদের যে কোনো ধরনের কাজে নিযুক্ত করা নিষিদ্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ট্যানারি ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এএএম/এমআইএইচএস/জিকেএস