ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

শিক্ষায় বিশ্বায়ন ও বাঙালির সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়ের চ্যালেঞ্জ

রবিউল করিম মৃদুল | প্রকাশিত: ১০:৪৮ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রায় সবগুলো স্তরে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সব পর্যায়েই শ্রেণিকক্ষের দেয়ালগুলো ক্রমশ কাচের মতো স্বচ্ছ হয়ে উঠছে। ভেতরে ঢুকছে বিশ্বায়নের নানা উপাদান, বেরিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়তা, হারিয়ে যাচ্ছে সংস্কৃতি। আজকের শিক্ষাব্যবস্থা দক্ষতা-কেন্দ্রিক, ফলাফলমুখী এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে তাল মেলানোয় ব্যস্ত। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, ব্যবসা, এসব শাখায় আধুনিক পাঠ্যক্রম যে আমাদের তরুণদের আন্তর্জাতিক মানের কর্মক্ষম করে তুলছে, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু ইউনেস্কোর একাধিক গবেষণা বলছে, মাতৃভাষা ও স্থানীয় সংস্কৃতিভিত্তিক শিক্ষা ছাড়া শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও আত্মপরিচয়ের বিকাশ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। বাংলাদেশে প্রাথমিক স্তরে মাতৃভাষাভিত্তিক শিক্ষা নীতিগতভাবে স্বীকৃত হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় ইংরেজি-নির্ভরতা ক্রমেই বাড়ছে। ফলাফল হিসেবে শিক্ষার্থীরা দক্ষ হলেও শিকড়হীন হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু যে ভাষাকেন্দ্রিক এ বিচ্ছিন্নতা, তা নয়। আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকাংশেই সংস্কৃতি বিমুখ।

সংস্কৃতি যে কোনো জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সংস্কৃতিই কোনো একটি জাতিকে জনসংখ্যা থেকে জনগোষ্ঠীতে রূপ দেয়। একই ভূখণ্ডে বসবাস করা মানুষ তখনই একটি জাতিতে পরিণত হয়, যখন তাদের চিন্তা, অনুভূতি, স্মৃতি ও মূল্যবোধের একটি যৌথ ভাষা থাকে। সেই ভাষার নামই সংস্কৃতি। এটি একটি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রধান বাহক। রাষ্ট্রের মানচিত্র বদলাতে পারে, রাজনৈতিক ক্ষমতা পাল্টাতে পারে, ইতিহাস বদলে ফেলতে পারে বিজয়ী পক্ষ, কিন্তু ভাষা, গান, গল্প, আচার ও স্মৃতির ধারাবাহিকতা ঠিক থাকলে সেই জাতিসত্তাকে কেউ চিরতরে মুছে ফেলতে পারে না। ইতিহাসে দেখা যায়, রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হওয়ার পরও শুধু সাংস্কৃতিকভাবে টিকে কারণে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে অনেক জাতি।

সংস্কৃতি এমন এক অনুষঙ্গ, যা মানুষের নৈতিক কাঠামো গড়ে তোলে। কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল, এই বোধ কেবল আইন দিয়ে তৈরি হয় না। তৈরি হয় গল্পে, লোককথায়, গানে, ধর্মীয় ও সামাজিক আচরণে। একটি জাতির সংস্কৃতি যত মানবিক, যত বৈচিত্র্যময়, তার সমাজ তত সহনশীল হয়। বাংলার চিরায়ত লোক সংস্কৃতি, ভাটিয়ালি, জারি-সারি, হাসন- লালন, বাউল বা মারফতি গানের মতো লোকজ ধারাগুলো মানুষকে সহমর্মিতা, বিনয় ও প্রশ্ন করার সাহস শেখায়, যা কোনো পাঠ্যবইয়ের সংজ্ঞা দিয়ে শেখানো যায় না।

সংস্কৃতি মূলত যে কোনো জাতির স্মৃতিভাণ্ডার। প্রতিটি প্রজন্ম তার পূর্বপুরুষদের অভিজ্ঞতা, সংগ্রাম ও স্বপ্ন উত্তরাধিকার হিসেবে পায় সংস্কৃতির মধ্য দিয়েই। যদি এই স্মৃতির সেতু ভেঙে যায়, তবে জাতি ইতিহাসহীন হয়ে পড়ে। ফলে একই ভুল বারবার করতে থাকে। কাজেই, সংস্কৃতি কেবল অতীত সংরক্ষণই নয়; ভবিষ্যৎকেও ভুল থেকে রক্ষা করার এক ধরনের জ্ঞানভাণ্ডার। শিক্ষাব্যবস্থায় যদি সংস্কৃতি অনুপস্থিত থাকে, তাহলে এই জ্ঞানভাণ্ডার ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে। সমাজে মাথা চাঁড়া দিয়ে ওঠে নানা অসংগতি ও অসহিষ্ণুতা।

বর্তমান বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সংস্কৃতির চর্চা, পাঠ ও পর্যালোচনার যে অংশটুকু পাওয়া যায়, তা খুবই অপ্রতুল। সংস্কৃতি কোনো আলাদা বিষয় নয়, যা পাঠ্যসূচির এক কোণে ‘চারু ও কারুকলা’ বা ‘বাংলা সাহিত্য’ নামে সীমাবদ্ধ থাকবে। সংস্কৃতি হলো দেখার ভঙ্গি, ভাবার পদ্ধতি, প্রশ্ন করার সাহস। কবি রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে কবি নজরুল ইসলাম তাদের শিক্ষা দর্শন আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় শিক্ষা যদি মানুষকে তার মাটি, মানুষ ও ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন করে, তবে তা কেবলই এক প্রকারের কারিগরি প্রশিক্ষণ হয়ে দাঁড়ায়। আজকের পাঠ্যবইয়ে আমরা হয়তো শিল্পবিপ্লবের তারিখ মুখস্থ করছি, ঘরে বসে বিশ্ব বদলে ফেলার স্বপ্ন দেখছি কিন্তু বাংলার কৃষি সমাজ, নদীকেন্দ্রিক জীবন, গ্রামীণ জীবনের চালচিত্র, ভাষা আন্দোলনের সাংস্কৃতিক অভিঘাত—এসব নিয়ে গভীর আলোচনা কোথায়?

তথ্য বলছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো দেশগুলো আধুনিক বিজ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতিকে পাঠ্যক্রমের কেন্দ্রে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছে। চীন, জাপান, কোরিয়ার স্কুলে শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তি শেখে যার যার নিজস্ব ভাষায়, ইতিহাস শেখে নিজেদের সাংস্কৃতিক বয়ানের ভেতর দিয়ে। ফলে তারা বিশ্বমুখী হয়েও নিজস্ব আত্মপরিচয়ে দৃঢ়। আমাদের ক্ষেত্রেও একই সম্ভাবনা ছিল এবং এখনও আছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা প্রায়ই আধুনিকতাকে অনুকরণের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলি। পাশ্চাত্যের পাঠ্যবই, শিক্ষণ পদ্ধতি, এমনকি মূল্যায়ন কাঠামোও হুবহু আমদানি করি। অথচ নিজেদের সমাজ বাস্তবতার সঙ্গে সেগুলোর সামঞ্জস্য কতটা, সে প্রশ্ন তুলতে সংকোচ বোধ করি। আর একটু একটু করে দূরে সরে যাই নিজস্ব সংস্কৃতি থেকে। হোক তা লোকসংস্কৃতি বা বাঙালি মুসলিমের ধর্মীয় সংস্কৃতি।

যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ফেরাতে না পারি, তবে আমরা ধীরে ধীরে এমন এক প্রজন্ম তৈরি করবো যারা বৈশ্বিক ভাষায় দক্ষ হলেও, নিজের সমাজের ভাষায় হবে নির্বাক। বাঙালি মুসলমানের সংস্কৃতি তখন আর স্মৃতির ভেতরও থাকবে না। থাকবে কেবল পাঠ্যবইয়ের ফুটনোটে, অথবা লোকজ গবেষকের নথিতে। শিক্ষা যদি সত্যিই মুক্তির পথ হয়, তবে সেই মুক্তি আসতে হবে শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ রেখে। সংস্কৃতিই সেই সংযোগেরই সবচেয়ে জীবন্ত সেতু।

বাঙালির আত্মপরিচয় কেবল ভাষায় নয়, ধর্মে, ইতিহাসের স্মৃতিতে, লোকসংস্কৃতিতে, সহনশীলতার ঐতিহ্যে গাঁথা। শিক্ষা যদি শিক্ষার্থীদের কেবল চাকরির বাজারে প্রতিযোগী করে তোলে, কিন্তু নাগরিক হিসেবে সংবেদনশীল না করে, তবে সেই শিক্ষা অসম্পূর্ণ। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সাংস্কৃতিক শিক্ষা যুক্ত থাকলে শিক্ষার্থীদের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নৈতিক বোধ শক্তিশালী হয়। এটি কেবল নৈতিক পাঠ নয়, বরং ইতিহাস, সাহিত্য, সংগীত ও শিল্পের সঙ্গে জীবনের সংযোগ তৈরি করার একটি প্রক্রিয়া।

আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে সংস্কৃতির দ্বন্দ্ব অনেকটাই প্রকাশ্য। এ দুইয়ের সমন্বয় করতে হবে আমাদেরকে। প্রযুক্তির ভাষা অবশ্যই শিখতে হবে, কিন্তু ভাবনার ভাষা হতে হবে নিজের। বিশ্ব-নাগরিক হওয়ার পূর্বে আগে নিজের শেকড় চিনতে হবে। নয়তো আমরা হয়তো দক্ষ প্রজন্ম তৈরি করব, কিন্তু সেই প্রজন্ম হবে আত্মপরিচয়হীন এক প্রজন্ম। যারা জানবে অনেক কিছু, অথচ নিজের পরিচয় বলতে গিয়ে থমকে যাবে।

শিক্ষার আসল সার্থকতা তখনই আসবে, যখন আধুনিকতার হাত ধরে চলতে চলতে আমরা নিজের সংস্কৃতির দিকে গর্ব নিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে ফিরে তাকাতে পারব। বাঙালির আত্মপরিচয় কোনো অতীতের ভার নয়, সঠিক শিক্ষার ভেতর দিয়ে তা হতে পারে আমাদের আধুনিকতারই সবচেয়ে শক্ত ভিত।

বাঙালি মুসলমানের ধর্মীয় সংস্কৃতি, লোকসংস্কৃতি শুধু কেবল কোনো ‘গ্রাম্য বিনোদন’ নয়। এটি এ অঞ্চলের জনগণের দীর্ঘকালীন জীবন-দর্শনের সংরক্ষিত রূপ। ভাটিয়ালি গানে মাঝির দীর্ঘ নিঃসঙ্গ নদীপথ কেবল সুরে নয়, রূপ নেয় দর্শনে, যেখানে জীবনের অনিশ্চয়তা, প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের লড়াই, আবার প্রকৃতির কাছেই আত্মসমর্পণের চিত্র ফুটে ওঠে। পুঁথি, জারি ও সারিগানে আমরা পাই ধর্মীয়বোধ, জীবন সংগ্রাম ও সমবেত চেতনার পাঠ। পালাগানে ইতিহাস হয়ে ওঠে জীবন্ত— সিরাজউদ্দৌলা বা মলুয়া-সুন্দরীর কাহিনি সেখানে নিছক গল্প নয়, ন্যায়-অন্যায় বোধের শিক্ষাও বটে। লালনের গান প্রশ্ন তোলে জাত, ধর্ম, আচার নিয়ে। আজকের পাঠ্যবইয়ে যেসব উচ্চারিত হয় না সেভাবে।

লোকসংস্কৃতির মতো লোকসাহিত্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মৈমনসিংহ গীতিকা, ঠাকুরমার ঝুলি, রূপকথার রাজপুত্র-দৈত্য-ডাইনি বুড়ির আড়ালে লুকিয়ে আছে সামাজিক ন্যায়বোধ, নারীর অবস্থান, ক্ষমতার রূপান্তরের নানা প্রতিচ্ছবি। এগুলো শিশুকে কেবল কল্পনাপ্রবণ করে না, বরং তার ভেতরে এক ধরনের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক বোধ গড়ে তোলে। গবেষণা বলছে, মাতৃভাষা ও স্থানীয় সংস্কৃতিভিত্তিক পাঠ শিশুর চিন্তা-ক্ষমতা ও আবেগী বুদ্ধিমত্তা বাড়ায়। অথচ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এই লোকজ জ্ঞানকে আমরা প্রায়ই ‘অপ্রাসঙ্গিক’ ভেবে উপেক্ষা করে চলেছি অবলীলায়।

এই উপেক্ষার ফলেই ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালি মুসলমানের নিজস্ব সাংস্কৃতিক স্বর। একসময় যে মুসলমান সমাজে প্রাসঙ্গিক ছিল আব্দুল আলিমের গান “দুয়ারে আইসাছে পালকি, নাইওরি গাও তোল রে তোল, মুখে আল্লাহ রাসুল সবে বলো”, প্রাসঙ্গিক ছিল সয়ফুল মূলকের পুঁথি, গজল, মারফতি গান, বাউল-ফকিরের আখড়া ছিল আত্মিক চর্চার কেন্দ্র, আজ তা সংকুচিত হয়ে পড়ছে। মানুষের উৎসব ক্রমশ হয়ে উঠছে ভোগবাদী প্রদর্শনী, যেখানে গ্রামবাংলার ঈদের গান, পিঠা-পার্বন, মেলা, সমবেত আনন্দ জায়গা হারাচ্ছে। মুসলমান সমাজের লোকাচার—মিলাদ, নবান্নে দোয়া, পীর-ফকিরের দরগায় মানবিক মিলন, লোকবিশ্বাসে গাঁথা সামাজিক সহমর্মিতা এসবকে আমরা কখনো ‘অশিক্ষিত সংস্কৃতি’, কখনো ‘অনৈসলামিক’ তকমা দিয়ে ঝেড়ে ফেলছি, অথচ এগুলিই ছিল এই ভূখণ্ডের ইসলামি সংস্কৃতির স্থানীয় রূপ।

সমস্যা এখানেই। আমরা সংস্কৃতিকে দুই ভাগে ভাগ করেছি। একদিকে আরবি-পারসিক প্রতীকবাদ, অন্যদিকে পশ্চিমা আধুনিকতা। মাঝখানে পড়ে আছে বাঙালি মুসলমানের নিজস্ব লোকজ ইসলামি সংস্কৃতি। চোখের সামনেই এটা অনাদরে ক্ষয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় যদি মারফতি সাহিত্য, মুসলিম লোককথা, বাংলায় রচিত ইসলামি কবিতা ও সংগীতের চর্চা থাকতো, তবে তরুণ প্রজন্ম বুঝতে পারতো, ইসলাম ও বাঙালিত্ব পরস্পরবিরোধী নয়, বরং এই ভূখণ্ডে তারা দীর্ঘকাল সহাবস্থানে বিকশিত হয়েছে। এ অঞ্চলের বিভিন্ন ধর্ম-মতের মানুষের মতো সুর ও সঙ্গীতও একে অপরের প্রতিবেশী।

প্রযুক্তি আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়, কিন্তু সংস্কৃতি আমাদেরকে মানুষ করে তোলে। যে শিক্ষার্থী ভাটিয়ালির সুরে নদীর ভাষা শোনে, জারি গানে বোঝে সংগ্রামের ইতিহাস, লালনের গানে প্রশ্ন করতে শেখে, সে কেবল চাকরির উপযোগী একজন সাধারণ শিক্ষিত নয়, সে হয়ে ওঠে একজন সংবেদনশীল নাগরিক। যার কাছে প্রাধান্য পায় পরমতের প্রতি শ্রদ্ধা ও পরমত সহিষ্ণুতা।

যদি এই অনুশীলন না থাকে, যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ ফেরাতে না পারি, তবে আমরা ধীরে ধীরে এমন এক প্রজন্ম তৈরি করবো যারা বৈশ্বিক ভাষায় দক্ষ হলেও, নিজের সমাজের ভাষায় হবে নির্বাক। বাঙালি মুসলমানের সংস্কৃতি তখন আর স্মৃতির ভেতরও থাকবে না। থাকবে কেবল পাঠ্যবইয়ের ফুটনোটে, অথবা লোকজ গবেষকের নথিতে। শিক্ষা যদি সত্যিই মুক্তির পথ হয়, তবে সেই মুক্তি আসতে হবে শিকড়ের সঙ্গে সংযোগ রেখে। সংস্কৃতিই সেই সংযোগেরই সবচেয়ে জীবন্ত সেতু।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও সহকারী অধ্যাপক, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

এইচআর/জেআইএম