ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

বৈশ্বিক সাংবাদিকতা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভর

সম্পাদকীয় ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৪২ পিএম, ০৩ নভেম্বর ২০২২

২০২২ সালের অক্টোবর মাস। খবরের পাতা খুলতেই একটা খবর চোখের সামনে এসে পড়লো। খবরটা পড়ে যতটুকু বোধ হলো, ভারতের চন্ডিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি তুলে কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিল।

ঘটনাটিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকাটা জানা দরকার। বলা যায় যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম না থাকতো, তাহলে এত দ্রুততার সাথে আপত্তিকর ভিডিও/ছবিগুলো হয়তো ছড়াতে পারতো না, কিন্তু এই কথাটাও এখানে মাথায় রাখা দরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণেই সংবাদটা দেশে-বিদেশে দ্রুততার সাথে ছড়িয়েছে, যার কারণে প্রশাসনের ওপর একটা চাপ সৃষ্টি হয়েছিল দ্রুততার সাথে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এর মাধ্যমে আমরা এটা বলতে পারি যে, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কোনো তুলনাই হয় না। খবরটা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ‘আন্তর্জাতিক সংবাদ’ হিসেবে বিদেশে খানিকটা আলোড়ন তুলেছিল। তাই এটা বলা যায় যদি আমরা বিশ্ব সাংবাদিকতার বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে দেখি তাহলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া বিশ্ব সাংবাদিকতা প্রায় অচল।

বিষয়টাকে একটু ভিন্নভাবে দেখার চেষ্টা করা যাক। এক দশক আগে যখন ‘আরব বসন্তের’ সূচনা হয়, তখন দেখা যায় মানুষকে একত্রিত করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটা বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু তখন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতেই দেশ-বিদেশে বসে মানুষ ওই সময়কার আসল পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

বিশ্বসাংবাদিকতার একটা প্রাথমিক ধারণা হলো মানুষকে ভৌগোলিক সীমানার বাইরে গিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করা। আর তা খানিকটা সহজ করে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বর্তমান যুগে একটা বড় ভূমিকা রাখে দেশে বিদেশে কোনো দেশের পরিস্থিতি ও গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পৌঁছানোর জন্য। তার জন্যই তো যেকোনো দেশের সরকার প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।

এর একটা উদাহরণ হিসেবে চীনের কথা বলা যেতে পারে। চীন থেকে যে কোনো সংবাদ বের করা অনেক কঠিন। তার একটা বড় কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। তাই যখন চীন থেকে যেকোনো সংবাদ আসে, বেশিরভাগ মানুষই তাতে ভ্রু কুঁচকানো শুরু করেন। কারণ বেশিরভাগ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে এর সত্যতা নিশ্চিত করা যায় না। এটা বলা ভুল হবে যদি বলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া বিশ্বসাংবাদিকতা করা অসম্ভব, কিন্তু এটা বলা সমীচীন হবে যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া বিশ্বসাংবাদিকতা প্রায় অচল।

বিজ্ঞাপন

লেখক: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

এইচআর/জেআইএম

বিজ্ঞাপন